বিষয়: রবীন্দ্র সঙ্গীত
শিরোনাম: আমার সকল দুখের প্রদীপ
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা (দুঃখ-১০) পর্যায়ের ২০১ সংখ্যক গান।
আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন —
আমার ব্যথার পূজা হয় নি সমাপন॥
যখন বেলা-শেষের ছায়ায় পাখিরা যায় আপন কুলায়-মাঝে,
সন্ধ্যাপূজার ঘণ্টা যখন বাজে,
তখন আপন শেষ শিখাটি জ্বালবে এ জীবন—
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন॥
অনেক দিনের অনেক কথা, ব্যাকুলতা, বাঁধা বেদন-ডোরে,
মনের মাঝে উঠেছে আজ ভ'রে।
যখন পূজার হোমানলে উঠবে জ্বলে একে একে তারা,
আকাশ-পানে ছুটবে বাঁধন-হারা,
অস্তরবির ছবির সাথে মিলবে আয়োজন—
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন॥
পাঠভেদ:
পাঠভেদ আছে ।
স্বরবিতান ষোড়শ
(১৬, গীতপঞ্চাশিকা। আশ্বিন
১৪১৩) খণ্ডের ১৯৪ পৃষ্ঠায় পাঠভেদ দেওয়া আছে। উক্ত
পাঠভেদটি নিচে তুলে ধরা হলো।
কখন্ বেলা-শেষের ছায়ায়...
ঘণ্টা কখন্ বাজে, :
গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন ১৩২৫)
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন
: স্বরলিপি, গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন
১৩২৫)
ব্যথার পূজা হবে সমাপন : কথার অংশ, গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন ১৩২৫)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: পাণ্ডুলিপিতে এই গানের সাথে রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ নেই।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান
কালানুক্রমিক সূচী গ্রন্থে গানটির রচনাকাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন- ১৩২৫
খ্রিষ্টাব্দের আশ্বিন মাস। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের ৫৭ বৎসর ৫ মাস।
[
রবীন্দ্রনাথের ৫৭ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পূজা
২০১, উপ-বিভাগ: দুঃখ-১০।
গীতপঞ্চাশিকা
[আশ্বিন ১৩২৫ বঙ্গাব্দ]।
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রবাহিনী [বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। অবসান ১৫
পৃষ্ঠা: ৮৭] [নমুনা]
স্বরবিতান ষোড়শ
( ১৬ , গীতপঞ্চাশিকা । আশ্বিন
১৪১৩) খণ্ডের ৩৯ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ১৩৬-৩৮।
[নমুনা]
রেকর্ডসূত্র: ১৯১৬ থেকে ১৯২৫
খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ
করেছিল। গানটির শিল্পী ছিলেন হরেন্দ্রনাথ দত্ত। রেকর্ড নম্বর
P5979
প্রকাশের
কালানুক্রম: ১৩২৫ বঙ্গাব্দে গানটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল '
গীতপঞ্চাশিকা
'র
সাথে। এরপর গানটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দে
প্রবাহিনী
গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান
-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে
প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল পূজা পর্যায়ের উপবিভাগ
দুঃখ-এর
১০ সখ্যক। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের
আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২০১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি একইভাবে
অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের
পৌষ মাসে।
গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত
স্বরলিপিটি
স্বরবিতান ষোড়শ (১৬, গীতপঞ্চাশিকা। আশ্বিন
১৪১৩)-এর ১৯২ পৃষ্ঠায় সুরভেদ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
এই খণ্ডে
গৃহীত মূল স্বরলিপিটি অনাদিকুমার দস্তিদার সম্পাদিত।
- সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান ষোড়শ (১৬ গীতপঞ্চাশিকা। আশ্বিন
১৪১৩)
খণ্ডে গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।
[স্বরলিপি]
- ডঃ দেবজ্যোতি দত্ত মজুমদার তাঁর
রবীন্দ্রসংগীতের ক্রমবিকাশ ও বিবর্তন গ্রন্থ-এই গানটির রাগ সম্পর্কে লিখেছেন-
"
'আমার সকল দুখের প্রদীপ' গানটি ভীমপলশ্রী রাগ অবলম্বনে রচিত। ভীমপলশ্রী রাগে কোমল
গান্ধার ও কোমল নিষাদ ব্যবহৃত হয় ও অন্যসব স্বর শুদ্ধ। এই গানটির প্রথম লাইনে
'নিবেদন' অংশে দেখা যাচ্ছে কোমল ধৈবতের ব্যবহার রয়েছে, যদিও ভীমপলশ্রীতে শুদ্ধ ধা
লাগে। 'নিবেদন'-এর ভেতর যে একটি আকৃতি বা আত্মনিবেদনের ভাব আছে তা কোমল ধৈবতের
প্রয়োগে অধিকর পরিস্ফুট হয়েছে।
ধণা |
 |
ণা |
 |
 |
ণধা |
-র্সা |
র্সণা |
দা |
 |
পা |
 |
 |
 |
 |
 |
 |
ক |
র্ |
ব |
০ |
০ |
০ |
নি |
বে |
দ |
০ |
০ |
০ |
০ |
ন্ |
-
রাগ:
মিশ্র ভীমপলশ্রী।
তাল: কাহারবা
[ রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬
। পৃষ্ঠা:
৩১]।
- রাগ:
ভীমপলশ্রী। তাল:
কাহারবা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৯।]
- গ্রহস্বর-সা।
- লয়-মধ্য।