বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: দুঃখ যদি না পাবে তো
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ: পূজা : ২০৪। দুঃখ-১৩
দুঃখ যদি না পাবে তো দুঃখ তোমার ঘুচবে কবে?
বিষকে বিষের দাহ দিয়ে দহন করে মারতে হবে॥
জ্বলতে দে তোর আগুনটারে, ভয় কিছু না করিস তারে,
ছাই হয়ে সে নিভবে যখন জ্বলবে না আর কভু তবে॥
এড়িয়ে তাঁরে পালাস না রে, ধরা দিতে হোস না কাতর।
দীর্ঘ পথে ছুটে ছুটে দীর্ঘ করিস দুঃখটা তোর।
মরতে মরতে মরণটারে শেষ ক'রে দে একেবারে,
তার পরে সেই জীবন এসে আপন আসন আপনি লবে॥
[RBVBMS 229]
[নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-
তে
লিখিত
এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে- ' শান্তিনিকেন/ ১ আশ্বিন'।
উল্লেখ্য, ১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ
ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের
এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল ২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত। রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল ২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত। তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে আশ্বিন
পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে এই গানটি তিনি ১ আশ্বিন
[শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর] শান্তিনিকেতন-এ রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩
বৎসর ৫ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
অরূপরতন
-
প্রথম সংস্করণ[মাঘ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ ।
গানের দলের গান। পৃষ্ঠা: ৬৫।
[নমুনা]
। উল্লেখ্য এই গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে (১৩২৪ বঙ্গাব্দ) গানটি বাদ দেওয়া
হয়েছিল।
-
কাব্যগ্রন্থ
-
নবম খণ্ড
[ ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ,
গীতালি ৪৩, পৃষ্ঠা ৪৬৬]
[নমুনা]
-
গীতবিতান
-
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতালি'
থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৪৯৩-৪৯৪]
[নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
[ বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮, পর্যায়:
পূজা, উপবিভাগ:
দুঃখ
: ১৩, পৃষ্ঠা: ৮৮]
[নমুনা]
- অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পূজা
২০৪, উপ-বিভাগ:দুঃখ-১৩।
-
গীতালি
-
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২১
বঙ্গাব্দ। nbsp;৪৩
সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা:
৪৯। [নমুনা]
- রবীন্দ্র রচনাবলী
একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৪৭-৪৮।
-
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ
(৪২, অরূপরতন) খণ্ডের ৩৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১১৩-১৪।
[নমুনা]
- প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
হয়েছিল গীতালির অন্তর্ভুক্ত হয়ে। এরপর ১৩২৩ বঙ্গাব্দে কাব্যগ্রন্থ
নবম খণ্ডে এবং ১৩২৬ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে অরূপরতনের প্রথম সংস্করণে
গানের দলের গান হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। অবশ্য পরবর্তী সংস্করণে (১৩৪২
বঙ্গাব্দ) গানটি অরূপরতন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান -এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা
পর্যায়ের উপবিভাগ
দুঃখ-এর ১৩
সংখ্যক
গান হিসেবে
।
১৩৭১
বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা পর্যায়ের ২০৪ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল
পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
.সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
সুধীরচন্দ্র কর
[স্বরলিপিটি পাণ্ডুলিপি থে কে
স্বরবিতান-৪২-এ গৃহীত হয়েছে]
-
সুর ও তাল:
- স্বরবিতান-৪২-এ গৃহীত স্বরলিপিতে
রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে কাহারবা তালে নিবদ্ধ।
- অঙ্গ: বাউল।
তাল: কাহারবা।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬ ।]
পৃষ্ঠা: ৫৯।
- অঙ্গ:
কীর্তন। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি,
জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ১০৩।
- গ্রহস্বর-ধা।
লয়-মধ্য।
পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: পূজা, দুঃখ
- সুরাঙ্গ:
বাউলাঙ্গ
- গ্রহস্বর: ধা
- লয়: মধ্য