বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
নূতন প্রাণ দাও,
প্রাণসখা,
আজি সুপ্রভাতে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান
অখণ্ড ( বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ )-এর
পূজা
পর্যায়ের ২৮৬ সংখ্যক গান। উপবিভাগ
জাগরণ
২৩,
নূতন প্রাণ দাও,
প্রাণসখা,
আজি সুপ্রভাতে
॥
বিষাদ সব করো
দূর নবীন আনন্দে,
প্রাচীন রজনী
নাশো নূতন উষালোকে ॥
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: ১২৯৪ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ [২৪ জানুয়ারি ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দ] আদি ব্রাহ্মসমাজের
অষ্টপঞ্চাশতৎ সাম্বৎসরিক মাঘোৎসব
অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উক্ত উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ মোট ১৭টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে এই গানটি ছিল প্রাতঃকালীন অধিবেশনের ৮টি গানের দ্বিতীয় গান। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৬ বৎসর ৮-৯ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
২৬ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
- পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮০৫ শকাব্দ ১২৯৪ বঙ্গাব্দ)।
নাচারী তোড়ি–
ধামার।
পৃষ্ঠা: ২০১। [নমুনা]
- প্রকাশের কালানুক্রম:
১২৯৪ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ
[২৪ জানুয়ারি ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দ]
আদি ব্রাহ্মসমাজের
অষ্টপঞ্চাশতৎ সাম্বৎসরিক মাঘোৎসবের
১১ মাঘ ১২৯৪ বঙ্গাব্দের প্রাতঃকালীন অধিবেশনে গানটি গীত হয়েছিল।
এই সূত্রে
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার
'ফাল্গুন ১২৯৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর
যে সকল গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা
(১৩০০ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থাবলী
(১৩০৩ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১৩১১ বঙ্গাব্দ), গান প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫ বঙ্গাব্দ),
গান দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ) ও
কাব্যগ্রন্থ
দশম
খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
১৩০৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থাবলী'-
ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল।
এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের
জাগরণ
উপবিভাগের ২৩ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১
বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৮৬ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল।
গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
- ঘ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি: কাঙ্গালীচরণ
সেন। [ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি-১,
স্বরলিপি-৪]
-
পর্যায়:
-
বিষয়াঙ্গ:
পূজা
(জাগরণ)।
ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ:
- ধ্রুপদাঙ্গ।
- এটি একটি ভাঙা
গান।
মূল গানটি সদারঙ্গের রচনা। মূলগান ও
সংশ্লিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত উভয়েরই স্থায়ী-অন্তরা দুই কলি।
কিন্তু সঙ্গীত-চন্দ্রিকা গ্রন্থে মূলগানটির স্বরলিপিসহ নিম্নোদ্ধৃত চার কলিযুক্ত
পাঠ পাওয়া যায়।
নচারীতোড়ী। ধমার
সতিন মদমাতো খেলে
হোরি
ঔর বৃষভানু নন্দিনী
॥
মটকী পর দধি
লেকে
মৈ জাতী হূঁ বাট,
কাহ্ন বিগাড় দই,
হসত
বৃষভানু-নন্দিনী
॥
চতুর কাহ্নে অব
খেলে
হোরি,
মৈ ন
জানূঁ আয়ে,
মুখ
রোরি
দেত
অহো বৃষভানু-নন্দিনী
।
সদারঙ্গ-প্রভু
সবকো বশকর লীনো,
ঔর উনকো বশকর বৃষভানু-নন্দিনী
॥
[সঙ্গীতচন্দ্রিকা। পৃষ্ঠা: ২২৭। গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪১৫।]
-
রাগ:
- নাচারী টোড়ী।
-
[স্বরবিতান
চতুর্থ (৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২)]
-
[তত্ত্ববোধিনী
(ফাল্গুন ১২৯৪)]
-
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬ । পৃষ্ঠা: ৬৩]
-
[রাগ-রাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১।
পৃষ্ঠা: ১১০]
[ নাচারী টোড়ী
রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
-
তাল:
-
ধামার।
-
[স্বরবিতান
চতুর্থ (৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২)]
-
[তত্ত্ববোধিনী
(ফাল্গুন ১২৯৪)]
-
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬ । পৃষ্ঠা:
৬৩]
-
[রাগ-রাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১।
পৃষ্ঠা: ১১০]
[ধামার তালে নিবদ্ধ গানের তালিকা]
গ্রহস্বর:
সা।
লয়: মধ্য।