সমাস
[
দেখুন: সমাস  অভিধান]

বাংলা ব্যাকরণের রূপতত্ত্বের বিষয়। এই বিষয়টি বাংলা ব্যাকরণে যুক্ত হয়েছে সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকে। পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণ দ্বিতীয় অধ্যায়, প্রথম পাদ-এ বর্ণিত সমাস সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। কিন্তু এই গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল সূত্রাকারে। পরবর্তী সময়ে এর ব্যাখ্যা করেছিলেন এবং সংস্কার করেছিলেন কাত্যায়ন, পতঞ্জলি, ভর্তৃহরি, ভত্তহরি, জয়াদিত্য, বামন, ভট্টোজি দীক্ষিত, চান্দ্রসম্প্রদায়, জিনেন্দ্র সম্প্রদায়, শাকটায়ন সম্প্রদায়, হেমচন্দ্র সম্প্রদায়, কাতন্ত্র সম্প্রদায়, মুগ্ধবোধ সম্প্রদায়, সারস্বত সম্প্রদায়, জৌমর সম্প্রদায়, গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়।

ব্যাকরণ কৌমুদির মতে
পরস্পর সম্বন্ধবিশিষ্ট দুই বা বহু পদের একপদীভাব, অর্থাৎ একপদ হইয়া যাওয়া, তাহাকে সমাস বলে। এই গ্রন্থে এর ইংরেজি করা হয়েছে Compound । মূলত ইংরেজি ভাষায় যথাযথ বাংলা বাংলা সংস্কৃতের মতো সমাস পাওয়া যায় না।

সমাসের পদ এর সম্মিলন ইত্যাদির বিচারে কিছু পারিভাষিক শব্দ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমনে– উত্তরপদ, পরপদ, পূর্বপদ, বিগ্রহবাক্য, ব্যাসবাক্য, সমস্যমানপদ, সমস্তপদ।

সমাসের শ্রেণিকরণ:
সংস্কৃত ব্যাকরণে, সমাসকে চারটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। এগুলো ছিল- অব্যয়ীভাব, তৎপুরুষ , বহুব্রীহি দ্বন্দ্ব । এর বাইরে  রাখা হয়েছিল 'সহসুপা' একটি সমাসকে। এর বাইরে কর্মাধরয়, দ্বিগু ইত্যাদি সমাসগুলোকে রাখা হয়েছিল- উক্ত সমাসগুলোর উপবিভাগ হিসেবে। এ সবের বিচারে সমাসের যে শ্রেণিকরণ পাওয়া যায় তা হলো-
সূত্র: