যেখানে অন্তরের স্বরের সাথে যুক্ত এক বিশেষ মৃদু বা কোমল স্বর (কাকলি) শুনতে পাওয়া যায়, সেই তার (তন্ত্রী) দ্বারা উৎপন্ন ধ্বনিকে সাধারিত স্বরস্থান বলে গণ্য করা উচিত। আর সেই ধ্বনিটি যখন পঞ্চম স্বরস্থানে অবস্থান করে, তখন তাকে কৌশিক (রাগ বা স্বর) বলে জানতে হবে।অন্তরস্বরসংযুক্তা কাকলির্যত্র দৃশ্যতে।
তন্তু সাধারিতং বিদ্যাৎ পঞ্চমস্থং তু কৌশিকম্ ॥৯॥
গ্রাম: মধ্যমস্বরসংখ্যাভিত্তিক জাতি:
গীত জাতি: বিকৃত (ষড়্জগ্রামের ষাড়্জী ও নৈষাদী এবং মধ্যম গ্রামের গান্ধারী, মধ্যমা ও পঞ্চমী-এর সংমিশ্রণে সৃষ্ট)
স্বরজাতি: পঞ্চস্বরা
অংশস্বর: ষড়্জ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত এবং নিষাদ
গ্রহস্বর: ঋষভ, গান্ধার, পঞ্চম এবং নিষাদ
ন্যাস স্বর: ষড়্জ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত এবং নিষাদ
অপন্যাস: ষড়্জ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত এবং নিষাদ। তবে কখনো কখনো অপন্যাস হতে পারে।
রস: অংশস্বর হিসেবে ধৈবত ব্যবহৃত হলে- বীভৎস ও ভয়ানক রস হয়।
তাল: পঞ্চপাণি
বৃত্তি: চিত্র, বার্তিক ও দক্ষিণ।
গীতি: এককল চিত্রামার্গে মাগধীগীতিতে, দ্বিকলে বার্তিক মার্গে সম্ভাবিতা গীতি এবং চতুষ্কলে দক্ষিণামার্গে পৃথুলা গীতিতে ব্যবহৃত হতো।
প্রয়োগ: ধ্রুবা গান হিসেবে নাটকের পঞ্চম প্রেক্ষণে এর প্রয়োগ ছিল এই গান এককল চিত্রামার্গে মাগধীগীতিতে, দ্বিকলে বার্তিক মার্গে সম্ভাবিতা গীতি এবং চতুষ্কলে দক্ষিণামার্গে পৃথুলা গীতিতে ব্যবহৃত হতো।
খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে যাষ্টিক এই রাগটিকে পঞ্চমের ভাষারাগ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশী গ্রন্থে [পৃষ্ঠা: ১৯২] পঞ্চমের ভাষারাগ হিসেবে এই রাগটির নামোল্লেখ রয়েছে। ষষ্ঠ শতাব্দীতে মতঙ্গের রচিত বৃহদ্দেশীতে [পৃষ্ঠা: ২২৪]- পঞ্চমের ভাষারাগ হিসেবে এই রাগের যে পরিচয় পাওয়া যায়, তাহলো- এর পঞ্চম ন্যাস ও মধ্যম অংশস্বর। এই রাগে মধ্যম, পঞ্চম এবং ধৈবতের বাহুল্য দৃষ্ট হয়। এটি সঙ্কীর্ণ পর্যায়ের রাগ। খ্রিষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে শারঙ্গদেবের রচিত সঙ্গীতরত্নাকরে বলা হয়েছে- কৈশিকীর গ্রহ, অংশ ও ন্যাস স্বর পঞ্চম এবং মধ্যম অপন্যাস স্বর। বৃহদ্দেশীতে এই রাগের যে আক্ষিপ্তিকা দেওয়া হয়েছে, তা হলো-
