সাধারণ কাক
House Crow, Colombo Crow

কোর্ভিনায়ি উপগোত্রের অন্তর্গত Corvus গণের একটি প্রজাতি। এর প্রজাতিগত নাম Corvus splendens  ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে এর নামকরণ করেছিলেন Vieillot

৫.২৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এই পাস্সেরি পক্ষীকূলের কোর্ভিডেস ক্ষুদ্রবর্গের উদ্ভব হয়েছিল। ৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই ক্ষুদ্রবর্গ থেকে উদ্ভব হয়েছিল কোরভিডা উপক্ষুদ্র বর্গের প্রজাতিসমূহ। আর এই উপক্ষুদ্র থেকে উদ্ভব হয়েছিল কোর্ভোইডিয়া ঊর্ধগোত্র। এই উর্ধগোত্রে থেকে ১.৭ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে উদ্ভব হয়েছিল কোরভিডায়ি গোত্রের প্রজাতিসমূহ। পরে এই ঊর্ধগোত্র থেকে উদ্ভব হয়েছিল কোর্ভিনায়ি উপগোত্রের প্রজাতিসমূহ। এউ উপগোত্র থেকে উৎপন্ন কোর্ভাস গণ থেকে এই প্রজাতির উদ্ভব হয়েছিল।

এই প্রজাতির কাকের আদিবাস এশিয়া। ভারত উপমহাদেশ এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে এই কাক প্রচুর দেখা যায়। তবে পৃথিবীর অন্যান্য গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে এই কাক অল্পবিস্তার দেখা যায়। সাধারণত এরা একাকী খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। তবে এদের ভিতরে দলগত ঐক্য প্রবল। কোনো কাক মারা গেলে বা আহত হলে, এরা দলগতভাবে শোক প্রকাশ করে। এবং এলাকার সকল কাল একত্রিত হয়।

এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার। চোখের নিচ থেকে গলা পর্যন্ত কালো নরম পালকে ঢাকা। মাথার পিছন এবং পাখার উপরিভাগ পর্যন্ত ধূসর কালো। পাখার রঙ কালো।

এরা কীটপতঙ্গ, টিকটিকি জাতীয় ছোট সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী, পাখির ডিম, শস্য কণা ইত্যাদি আহার করে। এছাড়া মৃত পশুর মাংশ আহার করে। মানুষের আবাসস্থালে থাকার কারণে মানুষের পরিত্যাক্ত সকল ধরনের খাবারই এরা খায়।

এরা খড়-কুটো দিয়ে অগোছালোভাবে বাসা তৈরি করে। সাধারণত উঁচু ডালে বা কোনো উঁচু স্থানে ডিম পারে। তবে কাকের বাসায় নানা রকমের দ্রব্য পাওয়া যায়। এক সাথে স্ত্রীপাখি ৩-৬টা ডিম পাড়ে। বাসায় ডিম থাকা অবস্থায় এরা অত্যন্ত হিংস্র হয়ে থাকে। এর বাসা কাছা কাছি কেউ গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করে।

এদের ডাক কা-কা। কর্কশ শব্দে ডাকার জন্য এদের দুর্নাম আছে।


সূত্র :