ফ্রান্সের পতাকা

ফ্রান্স
ইংরেজি  France
সরকারি নাম:
République Française

দক্ষিণ-পশ্চিম
ইউরোপর একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এর রাজধানীর  নাম প্যারিস।

ভৌগোলিক অবস্থান: ৪৭
° উত্তর ২° পূর্ব।  এর উত্তর-পূর্বে বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গ; পূর্বে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও ইতালি; দক্ষিণে এ্যান্ডোরা ও স্পেন; দক্ষিণ-পূর্বে ভূমধ্যসাগর; পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর; উত্তর-পূর্বে ইংলিশ চ্যানেল।

আয়তন: ৫,৫১,৬৯৫ বর্গকিমি (২,১৩,০১১ বর্গমাইল)।
 
জনসংখ্যা: ২০১৭  খ্রিষ্টাব্দের অনুমানিক হিসাব ৬,৭১,৫৮,০০০।

ভাষা: রাষ্ট্রীয় ভাষা ফরাসি।
ধর্ম:
রোমান ক্যাথলিক প্রধান ধর্ম।
মুদ্রা: ইউরো।

 

উল্লেখযোগ্য নগরী: প্যারিস।

 

ফ্রান্সের ইতিহাস
ফ্রান্সের সর্বপ্রথম অধিবাসীদের সম্পর্কে তেমন বিশেষ কিছু জানা যায় না। দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের গুহায় পাওয়া ছবিগুলি প্রায় ১৫,০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের বলে অনুমান করা হয়। উল্লরখ্য, খ্রিষ্টপূর্ব ৮ম শতক থেকে কেল্টীয়-সহ অন্যান্য গোত্রের লোকেরা ফ্রান্সে প্রবেশ করে। সে সময়ে এই অঞ্চল কেল্টীয় গল
(Gaul) নামে পরিচিতি লাভ করেছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতকে রোমানরা ফ্রান্স দখল করে। খ্রিষ্টীয় ৫ম শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পতন হওয়ার পর বেশকিছু রাজবংশ ফ্রান্স শাসন করে। এই সময় স্থানীয় রাজপরিবারগুলোর সূত্রে ছোটো ছোটো প্রশাসনিক অঞ্চলের সৃষ্টি হয়।

১৪শ শতক থেকে ১৮শ শতক পর্যন্ত আবার ক্ষুদ্র সামান্ততন্ত্রগুলো একীভূত হয়ে রাজতন্ত্রের পরিণত হয়। এসময় ফ্রান্সের রাজারা ও তাদের মন্ত্রীরা ধীরে ধীরে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতান্ত্রিক প্রশাসন গড়ে তোলে এবং বড় আকারের সামরিক বাহিনী গড়ে তোলে।
১৭৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে। এরপর ফ্রান্সে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত হয়। এসবের ভিতরে সত্ত্বেও নেপোলিয়ন বোনাপার্ট
(Napoleon Bonaparte) একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলে।

১৯শ শতকে ও ২০শ শতকের শুরুতে ফরাসি শক্তি ও আর্থিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। এসময় ফ্রান্স বিশ্বজুড়ে তাদের প্রতিদ্বন্বী ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। ফ্রান্স প্রথম বিশ্বযুদ্ধ অংশগ্রহণ করে। এই যুদ্ধের অধিকাংশই ফ্রান্সের মাটিতে সংঘটিত হয়। এর ফলে দেশটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি উত্তর ফ্রান্স দখল করলে, মধ্য ফ্রান্সের ভিশিতে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করে। সময় ফ্রান্স জার্মান বাহিনীর আক্রমণে ফ্রান্স বিধ্বস্ত হয়। এই যুদ্ধে ফ্রান্স ও তার মিত্রদেশসমূহ জয়লাভ করলেও বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর ক্রমাগত ফ্রান্সের উপনিবেশগুলিতে সাম্রাজ্যবিরোধী আন্দোলন জেগে উঠতে থাকে। এর ফলে ফ্রান্স অচিরেই তার বেশির ভাগ উপনিবেশ হারায়। এরপর ধীরে ধীরে ফ্রান্স বিশ্বের একটি প্রধান শিল্পরাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়।

১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে আলজেরিয়ায় ফরাসিবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। ফলে ফ্রান্সকে গৃহযুদ্ধের দিকে অগ্রসর হয়। এসময় ফরাসি সরকার ২য় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম ফরাসি নেতা শার্ল দ্য গোল-কে একনায়কের ক্ষমতা প্রদান করা হয়। দ্য গোল বিশ্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে ফ্রান্সকে অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেব ফ্রান্স, ইউরোপ ও বিশ্বে শক্তিশালী ভূমিকা রেখে চলেছে।

উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য
আইফেল টাওয়ার