ধরা
বানান বিশ্লেষণ : +ধ্+অ+র্+আ
উচ্চারণ:
d̪ʰɔ.ra
(ধ.রা)
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত ধরা>
বাংলা ধরা
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: √
ধৃ (ধারণ করা)
+ অ
(অচ্)
কর্তৃবাচ্য}
+ আ
(টাপ্)
স্ত্রীলিঙ্গার্থে)}
পদ:
বিশেষ্য
অর্থ:
কোনো
কিছু
হাত দিয়ে ধারণ
করা।
এই শব্দটি স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয় না। অন্য পদের পরে বসে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ
করে। যেমন-
১. হাতে ধারণ করা। যেমন- হাতে
ধরা ছিল বাজারের ব্যাগ
২. পোশাক বা সজ্জার দ্বারা বেশ ধরা
দশা। যেমন ছদ্মবেশ ধরা, ভেক ধরা
৩. গ্রেফতার করা বা আটক করার
কার্যক্রম। যেমন- চোর ধরা সহজ কাজ নয়
৪. আক্রমণ করা
দশা। যেমন- বাঘে ধরা গরু
৫. রোগে আক্রান্ত হওয়া
অবস্থা। যেমন- রোগে ধরা মানুষ
৬. শরণাপন্ন হওয়ার
কার্ক্রম । বড় সাহেবকে ধরা ছাড়া কাজ হবে না।
৭. অনুসরণ করা, অবলম্বন করার পদ্ধতি বা পথ। গুণীজনের পথ ধরা
৮. আবদ্ধ দশা। জলাশয়ে জল ধরা
৯. কণ্ঠে-ধ্বনির বিঘ্নতা ঘটেছে এমন অবস্থা । গলা ধরা
১০. গাছে ফল জন্মানো দশা। গছে ফল ধরা
১১. কার্যকর হওয়ার কার্ক্রম। ঔষুধের ফল ধরা
১২. থেমে যাওয়া অবস্থা। বৃষ্টি ধরা
১৩. স্থান দেওয়া অবস্থা। গর্ভে ধরা শিশু।
১৪. প্রজ্জলিত দশা। ঘরে আগুন ধরা
১৫. ব্যথা বা অস্বস্তিকর কোনো দশা। মাথা ধরা
১৬. আরম্ভ করার দশা। গান ধরা
১৭. নির্ধারণ করা অবস্থা। পণ্যের মূল্য ধরা
১৮. নতুন পরিচয় ধারণ করা। নতুন নাম ধরা।
১৯. কোনো ভাবে টিকে থাকার দশা। প্রাণ ধরা
২০ নাগাল পাওয়া। হাতে চাঁদ ধরা (রূপকার্থে)
২১. সংকুলান হওয়ার দশা। ছোটো ঘরে অনেক লোক ধরা
২২. অবস্থান্তরের প্রকাশ হওয়ার দশা। দাড়িতে পাক ধরা
২৩. নির্ণয় করা। ডাক্তারের রোগ ধরা
২৪. পছন্দনীয় বিষয় বা তোষামতি বিষয়। মন ধরা কথা
২৫. আসক্ত হওয়ার দশা। মদ ধরা
২৬. অবসন্ন বা কর্মক্ষমতা হ্রাস। পড়তে পড়তে চোখ ধরা, লিখতে লিখতে লিখতে হাত
ধরা
২৭. আত্মপ্রকাশের অবস্থা। তার কছে ধরা দেওয়া ছাড়া উপায় নেই
২৮. অপহরণ করা ব্যক্তি। ছেলে ধরা [(ছেলেকে ধরে (অপহরণ) যে]
২৯. অনৈতিকভাবে স্পর্শে। ভীড়ের ভিতরে মেয়ে ধরা লোক।
৩০. কোনো পরিস্থিতির বা দশার শিকার। শীত ধরা (শীত লাগা)
৩১, অনুমান করা। ধরা যাক এমনটা ঘটেছিল
৩২. অন্যের ভুল ধরার কার্যক্রম। কথা ধরা লোকের কাছে কথ বলাই বিড়ম্বনা
৩৩. মনের সরস দশা। রঙ ধরা কথা
৩৪. বিধিবদ্ধ বিষয়। বাঁধাধরা (চুক্তিভিত্তিক বিষয়ের চুক্তি বা বিধি)
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {
পৃথিবীসদৃশ গ্রহ |
সৌরগ্রহ
| গ্রহ |
|
মহাকাশীয় বস্তু |
প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু |
এককঅংশ
|
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু |
দৈহিক
সত্তা |
সত্তা |}
অর্থ: সৌরজগতের গ্রহ বিশেষ। [
পৃথিবী:
গ্রহ]
সমার্থক শব্দাবলি:
অখিল, অচলকীলা,
অচলা,
অদিতি, অদ্রিকীলা,
অধিলোক, অনন্তা, অবনীমণ্ডল, অব্ধিদ্বীপা,অব্ধিমেখলা, অবনী, অবনীতল, আদিম, আদ্য,
ইড়া, ইড়িকা, ইরা, ইলা, ইলিকা, ইহজগৎ, ইহলোক, উদধিবস্ত্রা, উর্বরা, উর্বী,
কাশ্যপী, কু,
ক্রোড়কান্তা, ক্ষমা, ক্ষিতি, ক্ষিতিজ, ক্ষোণি, ক্ষৌণী, ক্ষ্মা, খগবতী, খণ্ডনী,
গন্ধবতী, গিরিকর্ণিকা, গো, গোত্রা, চরাচর, জগ,
জগৎ, জগতী, জগদ্বহা,
জাহান, জীবলোক, জ্যা, দুনিয়া, দোহিনী, দ্বিরা,ধরণী, ধরা, ধরাতল, ধরাধাম, ধরিত্রী,
ধাত্রী, ধারণী, ধারতি, ধারয়িত্রী, ধারিণী, নরলোক, নিখিল, নিশ্চলা, নৃলোক, পারা,
পিষ্টপ, পৃথিবী,
পৃথিবীতল, পৃথিবীমণ্ডল, পৃথ্বী, বরা,বিপুলা, বসুধা, বসুন্ধরা, বসুমতী, বসুমাতা,
বিশ্ব, বিশ্বম্ভরা, বীজপ্রসূ, বীজসূ, ভবলোক, ভুবন, ভুবনমাতা, ভূ, ভূখণ্ড,
ভূতধাত্রী, ভূতল, ভূভাগ, ভূমণ্ডল, ভূমি, ভূর, ভূর্লোক, ভূলোক, মনুষ্যলোক, মরজগৎ,
মর্ত, মর্ত্যধাম, মর্ত্যলোক, মহা, মহাকান্তা, মহী, মহীমণ্ডল, মেদিনী, রত্নগর্ভা,
রত্নাবতী, রসা, শ্যামা, সংসার, সর্বংসহা, সপ্তদ্বীপা, সমুদ্রমেখলা, সমুদ্রাম্বরা,
সসাগরা, সাগরনেমি, সাগরমেখলা, সাগরাম্ববরা, সৃষ্টি, সৃষ্টিতল, স্থিরা।
পদ:
বিশেষণ
অর্থ: কোনো বিষয় ধারণ করে এমন নারী।
এই শব্দটি স্বাধীনভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হয় না। কিন্তু অন্য শব্দের পরে বসে পূর্বপদকে
বিশেষিত করে এবং উভয় মিলে কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে।
সমার্থক শব্দাবলি: ধরা, ধারিণী
যেমন:
অংশধরা
সূত্র:
- চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ।
১৪০৮।
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য
অকাদেমী। ২০০১।
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন
দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব
সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক
এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
- সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
- সরল বাঙ্গালা
অভিধান । সুবলচন্দ্র
মিত্র।
- wordnet 2.1