নক্ষত্র
বানান বিশ্লেষণ: ন্+অ+ক্+ষ্+অ+ত্+র্+অ
উচ্চারণ:
nok.kʱot̪.t̪ro (নোক্.খোত্.ত্রো)
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত নক্ষত্রম্> বাংলা নক্ষত্র
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: নক্ষ্(গতি) + অত্র (অত্রন্)}
পদ: বিশেষ্য

১.ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা{ | মহাকাশীয় বস্তু | প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু | এককঅংশ | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা | }
অর্থ:
অভ্যন্তরীণ তাপীয়-নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার দ্বারা শক্তি বিকীরণ করে, এমন উত্তপ্ত গ্যাসীয় মহাকাশীয় বস্তু। প্রাচীন ভারতীয় হিন্দু জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করতে, নক্ষত্র স্থির নয়। অর্থাৎ এর গতি আছে। এই অর্থে মহাকাশের দীপ্তিময় লক্ষ্যবস্তু সমূহকে নক্ষত্র বলা হয়েছে।প্রাচীন ভারতীয় হিন্দু জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করতে, নক্ষত্র স্থির নয়। অর্থাৎ এর গতি আছে। এই অর্থে মহাকাশের দীপ্তিময় লক্ষ্যবস্তু সমূহকে নক্ষত্র বলা হয়েছে। আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে নক্ষত্রের প্রকৃতি অনুসারে নানা ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
                      [দেখুন: নক্ষত্র(জ্যোতির্বিজ্ঞান)]
ইংরেজি:
star
সমার্থক শব্দাবলি:
ঋক্ষ, খেট, চন্দ্রধারা, জ্যোতিষ্ক, তারক, তারকা, তারা, নক্ষত্র, ভ, সিতারা।

২. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {মহাকাশীয় অঞ্চলঅঞ্চল | অবস্থান | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা | }
অর্থ: ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানে চন্দ্রের আকাশ পরিক্রমা-পথকে মোট ২৭টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর এক একটি ভাগকে বলা হয়- চন্দ্রের আবাস বা নক্ষত্র। এই নক্ষত্রগুলো হলো- অশ্বিনী, ভরণী, কৃত্তিকা, রোহিণী, মৃগশিরা, আর্দ্রা, পুনর্বসু, পুষ্যা, অশ্লেষা, মঘা, পূর্ব-ফাল্গুনী, উত্তর-ফাল্গুনী, হস্তা, চিত্রা, স্বাতী, বিশাখা, অনুরাধা, জ্যেষ্ঠা, মূলা, পূর্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, শ্রবণা, ধনিষ্ঠা, শতভিষা, পূর্ব-ভাদ্রপাদ. উত্তর-ভাদ্রপাদ ও রেবতী।  চাঁদের নক্ষত্র-অতিক্রম-কালকে এক চান্দ্রমাস বলা হয়।

যুক্তশব্দ:


সূত্র :