ফার্মিয়ন
বানান
বিশ্লেষণ:
ফ্+আ+র্+ম্+ই+য়্+অ+ন্+অ
উচ্চারণ:
[ফার্.মি.অন্]
[far.mi.ɔn]
শব্দ-উৎস:
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { |
অতি-পারমাণবিক কণা |
কায়া
|
এককঅংশ
|
দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
ইংরেজি:
boson।
এটি একটি
অতিপারমাণবিক কণার
শ্রেণি। ইতালির পদার্থ বিজ্ঞানী এরিক ফার্মি (Enrico
Fermi)-র নামানুসারে পল ডিরাক এই
এই কণার নামকরণ করেন। একটি কোয়ান্টাম দশায় একই স্থানে বহু কণা
একসাথে গাদাগাদি করে থাকতে পারে, এমন কণাগুলোকে
বোসন বলে। আর যে কণাগুলো এইভাবে
থাকতে পারে না, তাদেরকে বলা হয় ফার্মিয়ন। এদের অর্থ ঘূর্ণ দশা রয়েছে।
অতিপারমাণবিক কণাগুলো
ফারমিয়ান হিসেবে দুটি দশায় থাকতে পারে।
এই দশা দুটি হলো—
মৌলিক কণা (elementary particles)
এবং যৌগিক কণা (composite particles)।
মৌলিক কণা (elementary
particles):
এই কণাগুলো অন্য কোনো কণা দ্বারা গঠিত নয়। যেমন—
কোয়ার্ক
(quark),
লেপ্টন
(lepton),
হিগস বোসন কণা (Higgs boson)।
যৌগিক কণা (composite
particles) :
এই কণাগুলো অন্য কোনো কণা দ্বারা
গঠিত হয়। এই জাতীয় কণাগুলো একাধিক মৌলিক কণার সমন্বয়ে তৈরি হয়। যেমন দুই বা
ততোধিক কোয়ার্ক বা প্রতি-কোয়ার্ক মিলে যৌগিক কণাগুলো তৈরি হয়। এই যৌগিক কণাদের
কে বলা হয় হ্যাড্রোন
। হ্যাড্রোন শ্রেণির
কণাগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগগুলো হলো-
ব্যারিয়ন এবং
মেসন । সূত্র:
এই কণিকার ভিতরে মৌলিক কণা হলো দুটি
লেপ্টন ও
কোয়ার্ক। এই দুই ধরনের ফার্মিয়নের
ভিতরে রয়েছে ৬টি লেপটন এবং ৬টি কোয়ার্ক।
ফলে ফার্মিয়ানের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২টি। আবার প্রতিটি কণার রয়েছে ১টি করে প্রতিকণা
(Antiparticle)। ফলে ফার্মিয়ানের সংখ্যা
দাঁড়ায় ২৪টি।
ফার্মিয়ান কণাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
এই জাতীয়
কণার ভিতরে সবচেয়ে বড় কণা হলো,
পরমাণুর
নিউক্লিয়াস বা নিউক্লেই। হাইড্রোজেন
ব্যতীত সকল নিউক্লিয়াস তৈরি হয়
প্রোটন ও
নিউট্রন দিয়ে। এর চেয়ে ছোটো যৌগিক
কণা হলো প্রোটন ও নিউট্রন দিয়ে। এই কণা দুটি তৈরি হয় কোয়ার্ক কণা দিয়ে।
বাংলা একাডেমী বিজ্ঞান বিশ্বকোষ। ১-৫ খণ্ড (ডিসেম্বর ২০০৫)।
http://en.wikipedia.org/