লেপ্টন
পদ: 
বিশেষ্য
ঊর্ধবক্রমবাচকতা
	{
	অতি-পারমাণবিক কণা | 
	কায়া | 
	এককঅংশ | 
	দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | 
	দৈহিক সত্তা |
	সত্তা |} 
ইংরেজি:
lepton
অর্থ: এক প্রকার
	অতিপারমাণবিক কণা।
প্রতিটি মূল কণা 
ঋণাত্মক, কিন্তু এর নিউট্রোনো কণা আধান নিরপেক্ষ। যেমন- ইলেক্ট্রন ঋণাত্মক কণা, 
কিন্তু 
ইলেক্ট্রন নিউট্রিন 
আধান নিরপেক্ষ।
এর ঘূর্ণমান ১/২। তাই এই কণাকে
	
	
	ফার্মিয়ন শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চার্জ লেপ্টোন কণা অন্য কোন কণার সাথে মিলিত হয়ে যৌগিক কণা গঠন করতে 
পারে। যেমন বলা যায় পজিট্রোনিয়াম পদ্ধতিতে ঋণাত্মক ইলেকট্রন ( e–)  এবং প্রতিইলেকট্রন বা ধনাত্মক 
পজিট্রন (e+) সমন্বয়ে গামা রশ্মি উৎপন্ন করে। পক্ষান্তরে ‘নিউট্রাল 
লেপ্টোন’ কণা সাধারণত অন্য কোন কণার সাথে মিলিত হয়ে নতুন কণা তৈরি করে না।
অনুভাবন সৌরভের বিচারে লেপ্টনকে ছয় ভাগে ভাগ করা হয়। ৩টি প্রজন্মের বিচারে বিবেচনা 
করা হয়। এগুলো হলো- 
	- প্রথম প্রজন্ম: এই প্রজন্মের 
	ভিতরে রয়েছে ইলেক্ট্রন e–) এবংইলেক্ট্রন নিউট্রিনো
	(electron neutrino)।
- দ্বিতীয় প্রজন্ম: এই প্রজন্মের 
	লেপ্টনের মধ্যে রয়েছে মুয়োন 
	 (muon)
এবং মুয়োন নিউট্রিনো
	(muon neutrino)।
- তৃতীয় প্রজন্ম: 
	এই প্রজন্মের লেপ্টনের মধ্যে 
	টাউ
	(tau) 
	এবং 
	টাউ
	নিউট্রিনো 
	(tau  neutrino)
	 ধারণা করা হয়, 
বিগব্যাং-এর ১০-৪৩ থেকে ১০-৩৬ সেকেণ্ডের 
ভিতরে তৈরি হয়েছিল প্রাথমিক স্তরের
	
	অতিপারমাণবিক কণার ভিতরে দুটি 
বোসন কণা-
	এক্স এবং ওয়াই বোসন। এই দুই কণা ক্ষয় হয়ে 
	তৈরি হয়েছিল দুটি 
কোয়ার্ক কণা (আপ এবং ডাউন) এবং বলবাহী কণা লেপ্টনের দুটি কণা। 
লেপ্টনে  
	কোয়ার্কের মতো 
বর্ণ-নির্দেশিত কণা থাকে না। তাই এরা 
সবল নিউক্লিয়ার বলের 
মিথস্ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না।
	  
বিগব্যাং-এর ১ সেকেন্ড থেকে ১০ সেকেন্ড সময়কে বলা হয় লেপ্টন অন্তঃযুগ
	(Lepton epoch)।এই সময় তাপমাত্রা ১০১০
	কেলভিন থেকে ১০৯
	কেলভিন-এ নেমে এসেছিল। এই পরিবেশে
	
	লেপ্টন এবং প্রতি লেপ্টনের ভিতরে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের পরে সামান্য কিছু 
	লেপ্টন থেকে গেলেও বাকি কণা
	
	ফোটন কণায় পরিণত হয়।