প্লুটো
বানান বিশ্লেষণ : প্+ল্+উ+ট্+ও।
উচ্চারণ:
plu.to (প্লু.টো)

শব্দ-উৎস: গ্রিক Πλούτων, Ploutōn>ল্যাটিন Pluto (মৃত্যু ও পাতালের দেবতা)>ইংরেজি Pluto>বাংলা প্লুটো
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { বামনগ্রহ | মহাকাশীয় বস্তু | প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু | সমগ্র | দৈহিক লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}

 

সৌরজগৎ-এর একটি গ্রহ। রোমান মৃত্যু ও প্রেতলোকের দেবতা প্লুটোর নামানুসারে এই গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফ্ল্যাগস্টাফে অবস্থিত লওয়েল পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ক্লাইভ ডব্লিউ টমবাউ মিথুন নক্ষত্রপুঞ্জের দুটি নক্ষত্রের ছবি পরীক্ষা করার সময়, প্লুটোর সন্ধান পান। এরপর ধারাবাহিকভাবে কিছু পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে, দুটি নক্ষত্রের ছবির ভিতরে একটি সৌরজগতের গ্রহ। পরে অন্যান্য বিজ্ঞানীরাও তাঁর সাথে একমত হন। এরপর এই গ্রহের নামকরণ করা হয় প্লুটো। দীর্ঘদিন ধরে এই গ্রহটিকে সূর্যের নয়টি প্রধান গ্রহের তালিকায় ছিল। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে আনুষ্ঠানিকভাবে এই গ্রহটিকে প্রধান গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বামনগ্রহের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এই অনেকে মনে করেন নেপচুনের কোনো একটি উপগ্রহ কক্ষচ্যুত হয়ে গ্রহে পরিণত হয়েছে।
সৌরজগতের অন্তর্গত গ্রহের বিচারে, ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে International Astronomical Union তিনটি শর্তের ভিত্তিতে গ্রহের একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে। এই শর্ত তিনটি ব্যাখ্যা-সহ নিচে তুলে ধরা হলো।

উপরের এই সূত্রানুসারে, সৌরজগতের প্রধান গ্রহের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮টি। এই গ্রহগুলো হলো বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও  নেপচুন পাশের চিত্রে প্লুটোর যে কক্ষপথ দেখানো হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চ্যারন নামক উপগ্রহের প্রভাবে প্লুটো নিজের অক্ষ পরিত্যাগ করে ছোটো একটি চক্র তৈরি করে আবর্তিত হচ্ছে। ফলে সূর্যকে প্রদক্ষিণের জন্য এর যেমন একটি কেন্দ্র আছে, তেমনি একই সাথে নিজের ক্ষুদ্র চক্রের জন্য একটি কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। প্লুটোর এই বৈশিষ্ট্যের সূত্র ধরে শুধু প্লুটো নয়, সৌরজগতের প্লুটোর মতো আরও কিছু গ্রহকে নতুন করে নাম দেওয়া হয়, বামন গ্রহ।

 

সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে ২৪৮ পার্থিব বছর। কক্ষপথে প্লুটোর গতি মাত্র ৪.৭ কিলোমিটার। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় ৬০০ কোটি কিলোমিটার। এর ব্যাস প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার। এখন পর্যন্ত এই গ্রহের পাঁচটি উপগ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে।
            চ্যারন [১৯৭৮]
            নিক্স [২০০৫]
            হাইড্রা [২০০৫]
           
কার্বেরস [২০১১]
           
স্টিক্স [২০১২]

এই গ্রহটিতে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস রয়েছে।  


তথ্যসূত্র :