৫০বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
নজরুল ইসলামের ৫০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৬ বঙ্গাব্দ (বুধবার ২৫ মে ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দ) থেকে। শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৭ বঙ্গাব্দ (বুধবার ২৪ শে মে ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ)


২৫-৩১ মে ১৯৪৯ (১১-১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৬)
নজরুলের ৪৮ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের শুরু থেকেই নজরুল সম্বিতহারা ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য তেমন বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা তা জানা যায় না।

জুন ১৯৪৯ (১৮ জ্যৈষ্ঠ-১৬ আষাঢ় ১৩৫৬)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল।

এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান

এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত রচনা

ুলাই ১৯৪৯ (১৭ আষাঢ়-১৫ শ্রাবণ ১৩৫৬)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল।

১ জুলাই (শুক্রবার ১৭ আষাঢ় ১৩৫৬), চট্টগ্রামের সোসাইটি অফ আর্টস অ্যান্ড লিটারেচারের উদ্যোগে স্থানীয় জুবলি হলে নজরুলের ৫১তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়। এছাড়া চট্টগ্রামে তমুদ্দিন মজলিস ও বিশিষ্ট শিল্পী-সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে নজরুলের জন্মদিন পালন করা হয়।

এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান

আগষ্ট ১৯৪৯ (১৬ শ্রাবণ-১৪ ভাদ্র ১৩৫৬)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল।

নজরুলের প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থের উপর থেকে সরাকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর, এই মাসে গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। প্রকাশক মঈনউদ্দীন হোসয়ন বিএ, নূর লাইব্রেরি ১২/১ সারেঙ্গ লেন কলিকাতা। পৃষ্ঠা: ৮+৪৯+৭। মূল্য আঢ়াই টাকা।  এই সংস্করণে 'নব ভারতের হলদিঘাটা' এবং  'যতীন দাস' নামক কবিতা দুটি অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে প্রথম সংস্করণের 'জাগরণ' কবিতাটি স্থান পায় নি।

এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান

সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ (১৫ ভাদ্র-১৩ আশ্বিন ১৩৫৬)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল।

৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার ২২ ভাদ্র), কলকাতার বাদুড় বাগান লেনে আজাহার উদ্দিন খান অসুস্থ নজরুলকে দেখতে যান।  আজাহার উদ্দিন খান সেদিন নজরুলকে যে অবস্থায় দেখেছিলেন, বিবরণ পাওয়া যায় তাঁর ‌'বাংলা সাহিত্যে নজরুল' গ্রন্থে। এই লেখা থেকে জানা যায়, সে সময়ের নজরুলের পারিবারিক দৈন্য-দশা এবং নজরুলে শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা। বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় এই গ্রন্থের 'জীবন-সায়াহ্ন'-এর অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো-

'...৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯। কলকাতা গেছলুম জরুরী কাজে । ইচ্ছে হল কৰি নজরুলকে দেখবার। মনে ভয়ও ছিল কেমন না জানি তাকে দেখব।...গিয়ে দেখলুম কবির স্ত্রী একটি খাটে শায়িত, তার পালিত মেয়েটি কাপড় সেলাই করছেন ও অনিরুদ্ধ দরজার কাছে দীড়িয়ে একটা পত্রিকা ওলটাচ্ছেন। ...কবির স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে এমনি সাধারণ পরিচয়ের কথাবার্তা হল‌; কথাবার্তায় জানলুম তিনি পাশ ফিরতেও পারেন না, নীচের অঙ্গ পক্ষাঘাতে একেবারে অচল, অতিকষ্টে চিঠি-পত্রের উত্তর দেন। ...এমন সময় কবির পালিতা কন্যা উঠে গিয়ে পাশের ঘরের কপাট খুললেন। কবি নজরুল বেরিয়ে এলেন । চমকে উঠলুম; এ নজরুলকে দেখে চোখ কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না যে ইনিই বিদ্রোহী কবি নজরুল। পরণে একটি লুঙ্গি ও ধূসর বর্ণের হাফসার্ট। মুখে একটা উত্তেজনার ভাব ফুটে বেরুচ্ছে, ভার সেই বিদ্রোহী প্রাণশক্তির ছাপ অস্তরাগের বিলীয়মান আভার মত মুখে খেলা করছে। দরজার পাশেই আসন পাতা, চারদিকে বিভ্রান্তের মত তাকিয়ে আসনে বসে পড়লেন; পাশেই পুরোণো মাসিক সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলো ছেঁড়া অবস্থায় গুটান রয়েছে। সেগুলো পাতার 'পর পাতা উলটিয়ে চলেছেন- পড়েন না। যখন সবগুলো ওলটানো শেষ হয়ে যাচ্ছে সেগুলোকে ফিরিয়ে গোছ করে আবার উলটিয়ে চলেছেন। কথাবার্তা বলেন না- মাঝে মাঝে কি একটা বলছেন তা জড়িয়ে যাচ্ছে -বুঝতে পারা যাচ্ছে না।...যখন কপাট খুলে দেওয়া হয় বা কখনো নিজে কপাট খুলে এ জাম্গাটিতে বসে এ বইগুলো ওলটাতে থাকেন; এই ওলটানোর ফলেই বইগুলোর অবস্থা এরূপ হয়েছে। আমি জিজ্ঞেস
করলুম, 'খাওয়া-দাওয়া সম্বন্ধে তিনি কিছু বলেন কি?'  উত্তরে তিনি বললেন, 'খাওয়া-দাওয়া। সম্বন্ধে একেবারে উদাসীন। আমরা সময়মতো খাইয়ে দি- যা দেওয়া হয় তাই খেয়ে নেন। দুপুরবেলা কোন কোন দিন
একটু ঘুমোন নইলে ঘরে বসে শুধু পাগলের মত চলাফেরা করতে থাকেন বা চুপ করে বসে থাকেন আর এ বিড়বিড় করে বকে চলেন। রাত্রে তার বেশ ঘুম হয়। স্মৃতিশক্তি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে- অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবই যেন তাঁর কাছে অন্ধকার। পুরোণো বন্ধু-বান্ধবদের দেখলেও চিন্তে পারেন না কবি মাঝে মাঝে আমার দিকে উদাসীনভাবে তাকাচ্ছেন আর ভিজে আডুল দিয়ে পাতা উলটিয়ে চলেছেন, কি যেন একটা জরুরী জিনিস খুঁজছেন। একটি একটি ক'রে পাতা ওলটান না একসঙ্গে ১০।১২ পাতা ওলটান হয়ে যাচ্ছে। পূর্বের পাঠাভ্যাস ছাড়তে পারছেন না যেন। আমার দিকে তাকিয়ে কি যেন বললেন। কবির স্ত্রীকে এর অর্থ চ্জ্ঞাসা করলুম। কবি-পত্নী বললেন, 'কিছু বুঝতে পারলুম না।' ...

...কবির স্ত্রীকে তাঁদের সাংসারিক অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করলুম। তিনি বললেন, 'পূর্বে যে অবস্থায় চলত সেই অবস্থা।' কবির স্ত্রীকে অনুরোধ করলুম যে, আমার খাতায় কবি যেন তার নামটি লিখে দেন। তখন অনিরুদ্ধ আমার খাতা আর ফাউণ্টেন পেনটি নিয়ে কবিকে দিযে বললেন, লেখো তো বাবা, কা...জী...নজ ...রুল...ইস...লাম...।‌'  কবি নামটি লিখে দিলেন। কবি-পত্নী সেটা দেখে আমাকে বললেন, 'আপনার ভাগ্য দেখছি খুব ভাল, কেননা আজকাল উনি কোন কিছু লিখতে চান ন।- যদিও লেখেন তাও দু'একটা। অক্ষরে লেখার পরই খাতাকলম ছুঁড়ে ফেলে দেন কিম্বা একটা আঁকাবাঁকা লাইন টেনে দেন।‌' ...
 [বাংলা সাহিত্যে নজরুল। আজাহার উদ্দীন খান। বহুল পরিবর্ধিত তৃতীয় সংস্করণ- পৌষ ১৩৬৫। পৃষ্ঠা: ৫৮-৬০]
 

এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান

অক্টোবর ১৯৪৯ (১৪ আশ্বিন-১৪ কার্তিক ১৩৫৬)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল। এই মাসে নজরুলের কোনো রচনা- পত্রিকা, রেকরড বা বেতারে প্রকাশিত হয় নি।

নভেম্বর ১৯৪৯ (১৫ কার্তিক-১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৫৬)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল।

২৭ নভেম্বর (রবিবার ১১ অগ্রহায়ণ ১৩৫৬)।

ডিসেম্বর ১৯৪৯ (১৫ অগ্রহায়ণ- ১৬ পৌষ ১৩৫৬)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল। এই মাসে নজরুলের কোনো রচনা- পত্রিকা, রেকরড বা বেতারে প্রকাশিত হয় নি।

জানুয়ারি ১৯৫০ (১৭ পৌষ-১৭ মাঘ ১৩৫৬)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল।

এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান

ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ (১৮ মাঘ-১৬ ফাল্গুন ১৩৫৬)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল। এই মাসে নজরুলের কোনো রচনা- পত্রিকা, রেকরড বা বেতারে প্রকাশিত হয় নি।

মার্চ ১৯৫০ (১৭ ফাল্গুন-১৭ চৈত্র ১৩৫৬)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল।

এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গান

এপ্রিল ১৯৫০ (১৮ চৈত্র ১৩৫৬-১৭ বৈশাখ ১৩৫৭)
এই মাসে নজরুলের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল।

 

১- ২৪ মে ১৯৫০ (১৮ বৈশাখ -১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৫)
নজরুলের ৪৭ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের শেষ কয়েক দিনে, তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অপরবর্তনীয় অবস্থায় ছিল।