ধূমকেতু
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত অর্ধ-সাপ্তাহিক পত্রিকা। প্রকাশিত হতো সপ্তাহের শুক্রবার ও মঙ্গলবার।

১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২৬ শ্রাবণ (শুক্রবার ১১ আগস্ট ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ) আত্মপ্রকাশ করে। এর সম্পাদক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। প্রকাশক ছিলেন আফ্‌জাল-উল হক্। পত্রিকার প্রথম পাতায় গ্রহ-নক্ষত্র পরিমণ্ডলসহ পৃথিবীর ছবি রয়েছে এবং পৃথিবীর আকাশে গতিময় ধূমকেতুর আবির্ভাব ঘটেছে। হাতে আঁকা এই ছবির নিচে পত্রিকার প্রকাশের সময় উল্লেখ ছিল- 'সপ্তাহে দুইবার করিয়া বাহির হইবে।'

পত্রিকাটির দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছিল ৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির অভিনন্দনবার্তা। এই ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সরোজিনী, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বারীন (পদবী জানা যায় নি), যতীন্দ্রমোহন বাগচী, পরিসুন্দরী ঘোষ, উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরজাসুন্দরী দেবী। এর ভিতরে রবীন্দ্রনাথ ও যতীন্দ্রমোহন বাগচী অভিনন্দন জানিয়েছিলেন কবিতায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অভিনন্দনে লিখেছিলেন-

                অমঙ্গলের মঙ্গল ঘট
কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু

আয় চলে আয়, রে ধূমকেতু,
আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু,
দুর্দিনের এই দুর্গশিরে
        উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।
অলক্ষণের তিলক রেখা,
রাতের ভালে হোক্ না লেখা
জাগিয়ে দেরে চমক্ মেরে'
        আছে যারা অর্দ্ধচেতন।
২৪ শ্রাবণ
  ২৩২৯                শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথের এই অভিন্দন বার্তা পত্রিকার সকল সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হতো। পত্রিকাটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১৬, পৃষ্ঠার মাপ ছিল ক্রাউন ১৫"x২০"। এর বার্ষিক মূল্য ছিল টাকা। আর নগদ মূল্য ছিল ৪ আনা।

পত্রিকাটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছিল এবং বিক্রয়ের দিক থেকে সেকালের সকল পত্রিকাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ব্রিটিশ বিরোধী রচনা প্রকাশের জন্য, পত্রিকটি অচিরেই সরকারের কুদৃষ্টিতে পড়ে যায়। পুলিশের হাঙ্গামা এড়ানোর জন্য ৩২ নম্বর কলেজ স্ট্রিটের বাড়ির মালিক ধূমকেতু প্রকাশে আপত্তি জানায়। ফলে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ২রা সেপ্টেম্বর (শনিবার, ১৬ ভাদ্র ১৩২৯), ধূমকেতুর অফিস ৭ প্রতাপ চাটুজ্যে লেনে স্থানানান্তর করা হয়। ২৬ শে সেপ্টেম্বর (৯ আশ্বিন, প্রথম বর্ষ ১২শ সংখ্যা) নজরুলের 'আনন্দময়ীর আগমনে' কবিতা প্রকাশের জন্য (পৃষ্ঠা ১২), ধূমকেতুর ওই সংখ্যা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

ধূমকেতুর ২৭শ সংখ্যার (২৯ অগ্রহায়ণ ১৩২৯, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ১৯২২) তৃতীয় পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা-'প্রেসের সুবিধার জন্য সামনের সংখ্যা থেকে ধূমকেতু প্রতি বুধবার ও শনিবারের দেখা দেবে'।  এরপর ২৮শ সংখ্যা থেকে এই পত্রিকাটি প্রতি সপ্তাহের বুধবার ও শনিবারে প্রকাশিত হয়েছে।

পত্রিকায় বিপ্লবী বক্তব্য প্রচারের কারণে নজরুল রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে জানুয়ারি (মঙ্গলবার, ৯ মাঘ ১৩২৯) এক বছরের জন্য কারারুদ্ধ হন। এরপর শেষ সংখ্যাটি (৩২তম সংখ্যা। ১৩ মাঘ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ, ২৭ জানুয়ারি ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ)  প্রকাশিত হয়েছিল অমরেশ কাঞ্জিলালের সম্পাদনায়।

নজরুলের প্রচেষ্টায় পত্রিকার কয়েকটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে ২০ পৃষ্ঠার 'মোহররম সংখ্যা' (৭ম সংখ্যা, ১৬ ভাদ্র ১৩২৯/ আগস্ট ১৯২২), ১২ পৃষ্ঠার 'আগমনী সংখ্যা' (১২শ সংখ্যা, ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২), ১২ পৃষ্ঠার 'দেওয়ালী সংখ্যা' (১৫শ সংখ্যা, ২০ অক্টোবর ১৯২২) এবং 'কংগ্রেস সংখ্যা' (৩০তম সংখ্যা, ২৭ ডিসেম্বর ১৯২২) ছিল উল্লেখযোগ্য।

এই পত্রিকায় প্রকাশিত নজরুলের রচনা

প্রথমবর্ষ। প্রথম সংখ্যা [১১ আগষ্ট ১৯২২ (শুক্রবার, ২৬ শ্রাবণ ১৩২৯)।

  1. সম্পাদকীয়। সারথী পথের খবর। পৃষ্ঠা: ৩-৪। রুদ্র-মঙ্গল প্রবন্ধগ্রন্থে 'আমার পথ' শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

  2. ধূমকেতু। পৃষ্ঠা ৪-৫। অগ্নি-বীণা কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

  3. বিদ্রোহী। প্রথম সংখ্যা। সানাই-এর পোঁ। এই কবিতার শেষে বলা হয়, 'এই কবিতাটি প্রথমে 'মোস্‌লেম ভারতে' বের হয়। পরে এটা 'বিজলী' 'প্রবাসী' প্রভৃতি পত্রিকায় উদ্ধৃত হয়।...'।  নজরুলের এই কবিতার অনুকরণে শ্রীপ্রভাতমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় 'দীন' নামক একটি কবিতা। কবিতাটি এই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়ৈছিল। পৃষ্ঠা: ১১লিখেছিলেন
    পৃষ্ঠা: ৯-১১]

  4. ল্যাবেন্ডিশ-বাহিনীর বিজাতীয় সঙ্গীত। কে বলে মোদেরে ল্যাডাগ্যাপচার [গান-২৩৮৬] [তথ্য] পৃষ্ঠা: ১৩ ]

প্রথমবর্ষ। দ্বিতীয় সংখ্যা [৩০ শ্রাবণ  ১৩২৯, মঙ্গলবার, ১৫ আগষ্ট ১৯২২। ]

  1. জাগরণী। ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও [গান-২৩৪৩]  [তথ্য]
    দ্বিতীয় সংখ্যা [৩০ শ্রাবণ  ১৩২৯, মঙ্গলবার, ১৫ আগষ্ট ১৯২২। পৃষ্ঠা: ৩] পরে জাগৃহি শিরোনামে বিষের বাংশী কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

  2. সম্পাদকীয়: কাণার বোঝা কুঁজোর ঘাড়ে। পৃষ্ঠা: ৩-৪

প্রথমবর্ষ।  তৃতীয়য় সংখ্যা [১লা ভাদ্র  ১৩২৯, শুক্রবার ১৮ আগষ্ট ১৯২২]

  1. সম্পাদকীয়। রুদ্র-মঙ্গল। ৩ । রুদ্র-মঙ্গল প্রবন্ধগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  2. আগ্‌ডুম বাগ্‌ডুম। পৃষ্ঠা: ৩

     

প্রথমবর্ষ।  চতুর্থ সংখ্যা [ ভাদ্র  ১৩২৯, মঙ্গলবার ২২ আগষ্ট ১৯২২ ]

  1. সম্পাদকীয়। মোরা সবাই স্বাধীন সবাই রাজ। ৩। দুর্দিনের যাত্রী প্রবন্ধগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

  2. রক্তাম্বর-ধারিণী মা। পৃষ্ঠা: ৩। অগ্নিবীণা গ্রন্থে সংকলিত

  3. হুগলীর ডাব-নারকেল শিরোনামে একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়। [পৃষ্ঠা ৯]। উক্ত সংবাদ থেকে জানা যায়, নজরুল 'গত মঙ্গলবার' অর্থাৎ  ৩০ শ্রাবণ ১৩২৯, ১৫ আগ্ষ্ট ১৯২২, তারিখে নজরুল কলকাতা থেকে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। সংবাদটি বেশ রঙ্গব্যঙ্গে প্রকাশিত হয়েছিল। যেমন-

    'গত মঙ্গলবার হুগলী জাতীয় বিদ্যামন্দিরের বার্ষিক পারিতোষিক বিতরণ সভা হয়েছিল । কলকাতা থেকে যান শ্রীযুক্তা মোহিনী দেবী, তাঁর তৃতীয় মেয়ে, ছোট মেয়ে আর এক নাতনী, এবং কাঁজী নজরুল ইসলাম ও দুটি কাপড়ের বোঁচকা। বিপুল সমাদরের সঙ্গে তাঁদরে অভ্যর্থনা করেন হুগলী কংগ্রেস-কর্ম্মীগণ। স্কুলের ছেলেরা রক্ত-রাঙ্গা খদ্দর পরে এক অভিনব চোখ-জুড়ানো দৃশ্যের সৃজন করেছিল। সে এক দেখবার মত জিনিস, ওখানের জাতীয় বিদ্যামন্দিরের কর্ম্মিগণের মত উৎসাহ্‌ বাঙলা অন্য কোথাও দেখা যায় না। সাধারণতঃ  ছেলেদের দেশকে ভালোবাসা "শিক্ষার বই উপহার দেওয়া
    হয়। ছেলেদের গান - আবৃত্তি হয়। কাজী নজরুল ইস্‌লাম সভায় প্রথমে ও শেষে কয়েকটী গান করেন। শ্রীযুত অতুল সেন তাঁর অপূর্ব্ব কৌতুক অভিনয়
    দেখিয়ে "মধুরেণ সমাপয়েৎ করেন। হাঁ বলতে ভুলে গেছি, মধ্যে কয়েকজন বক্তার বক্তিমের গরমে লোক একেবারে ভেপ্‌সে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। দেশ-মাতার প্রতি শ্রদ্ধায়-ভক্তিতে অনেক বক্তাই স্বরভঙ্গ দোষ-দুষ্ট হয়ে পড়লেন, কিন্ত দেশের জন্য তাঁদের কাছে ভিক্ষা চাওয়ায় তারা মাসিক গোটাই একটা ক'রে টাকা দেবেন ব'লে দিব্যি ক'রে বসলেন। কিন্তু বলেই তাদের প্রাণ আই ঢাই করতে লাগ্‌ল ব'লে বাড়ীমুখো হয়ে দে ছুট । এই সব বাক্যি সার রায় বাহাদুরের গোষ্ঠীকে কেনই বা “বিব্রত” করা হয়েছিল আর কেনই যে এমন হীন ভিক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তা বুঝে উঠ্‌তে পারিনি আর পার্‌বও না। এ, একটা ক'রে টাকা তাদের মুখের ওপর ছুঁড়ে ফেলে দিলে তবে কখনো ইয়ে হ'ত। সভানেত্রী মাতা মোহিনী দেবী সুন্দর কয়েকটা কথা বলার পর সভা ভিসমিস।
     

প্রথমবর্ষ।  পঞ্চম সংখ্যা [ ভাদ্র  ১৩২৯, শুক্রবার ২৫ আগষ্ট ১৯২২ ]

  1. সম্পাদকীয়: আমরা লক্ষ্মী-ছাড়ার দল। পৃষ্ঠা: ৩]। দুর্দিনের যাত্রী গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

প্রথমবর্ষ।  ষষ্ঠ সংখ্যা [১২ ভাদ্র  ১৩২৯, মঙ্গলবার ২৯ আগষ্ট ১৯২২ ]

  1. সম্পাদকীয়: তুবড়ী বাঁশীর ডাক। পৃষ্ঠা: ৩] দুর্দিনের যাত্রী গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

প্রথমবর্ষ।  সপ্তম সংখ্যা [১২ ভাদ্র  ১৩২৯, মঙ্গলবার ২৯ আগষ্ট ১৯২২]
ষষ্ঠ সংখ্যা ও সপ্তম সংখ্যা একই সময় প্রকাশিত হয়েছিল। এই সংখ্যাটির নামকরণ করা হয়েছিল 'মোহরম সংখ্যা [১৩৪১ হিজরী]'

  1. সম্পাদকীয়: মোহর্‌রম। পৃষ্ঠা: ৩]

  2. মোহর্‌রম [কবিতা] [পৃষ্ঠা: ৯]

প্রথমবর্ষ।  অষ্টম সংখ্যা [ ভাদ্র  ১৩২৯, মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২২]
এই সংখ্যা থেকে ধূমকেতুর সারথি হিসেবে নজরুলের নাম পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, আগের সংখ্যাতে নজরুলের নাম যুক্ত ছিল সম্পাদক হিসেবে। এই সংখ্যা থেকে ধূমকেতু  ৭ নম্বর প্রতাপ চাটুয্যের লেন থেকে পত্রিকাটি প্রকাশিত হতে থাকে। এর আগে পত্রিকটি ধূমকেতু কেন্দ্র ৩ নম্বর কলেজ স্কোয়ার থেকে প্রকাশিত হতো।

  1. সম্পাদকীয় 'বিষবাণী'। [পৃষ্ঠা: ৩] এছাড়া প্রকাশিত হয়েছিল 'বাংলার বিপ্লব যুগের প্রথম সেনানায়ক/পুরুষ সিংহ যতীন্দ্রনাথ' প্রবন্ধ। রুদ্রমঙ্গল প্রবন্ধগ্রন্থে স্থান পেয়েছে। [পৃষ্ঠা: ৩-৫]

  2. কামাল পাশা [কবিতা]

প্রথমবর্ষ।  নবম সংখ্যা [২৯ ভাদ্র  ১৩২৯, শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯২২]

  1. সম্পাদকীয় 'মেয়্ ভুখা হুঁ''। [পৃষ্ঠা: ৩-৪ দুর্দিনের যাত্রী]
     

প্রথমবর্ষ।  দশম সংখ্যা [২ আশ্বিন  ১৩২৯, মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯২২]

  1. সম্পাদকীয় 'ক্ষুদিরামের মা'। [পৃষ্ঠা: ৩ রুদ্রমঙ্গল]

প্রথমবর্ষ।  একাদশ সংখ্যা [৫ আশ্বিন  ১৩২৯, শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ১৯২২]

  1. সম্পাদকীয় 'পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ'। [পৃষ্ঠা: ৩ দুর্দিনের যাত্রী]

প্রথম বর্ষ।  দ্বাদশ সংখ্যা [৯ আশ্বিন ১৩২৯, মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২]

 

  1. আনন্দময়ীর আগমনে [কবিতা] পৃষ্ঠা: ৩-৪] এই কবিতাটি সম্পাদকীয় হিসেব ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য এই কবিতাটি তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার জন্য লিখেছিলেন। কিন্তু কবিতাটি প্রকাশিত হলে, সরকারের বিরাগভাজন হওয়ার সম্ভবনা আছে, এমন বিবেচনায় কবিতাটি প্রকাশ করে নি। ধূমকেতুতে প্রকাশের পর, সরকার ধূমকেতুর এই সংখ্যা বাজেয়াপ্ত করেছিল।

  2. আগমনী কবিতাটি অগ্নিবীণা গ্রন্থে সংকলিত হয়েছিল। ধূমকেতুর এই সংখ্যায় কবিতাটি পুনরায় প্রকাশিত হয়েছিল। [পৃষ্ঠা ১২]

  3. এই সংখ্যায় 'অবসর গ্রহণ' শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এই বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়- শারদীয় পূজাপলক্ষে ধূমকেতুর প্রকাশ বন্ধ থাকবে। এই কারণে ১২, ১৬ ও ১৯শে আশ্বিন, পত্রিকটা প্রকাশিত হবে না।

প্রথম বর্ষ।  ত্রয়োদশ সংখ্যা [২৬ আশ্বিন ১৩২৯, শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ১৯২২]

  1. সম্পাদকীয় 'ধূমকেতুর পথ'  পৃষ্ঠা: ৩] রুদ্রমঙ্গল প্রবন্ধ গ্রন্থে সঙ্কলিত।

  2. কাজী নজরুল ইসলামের রাণীগঞ্জ আগমন উপলক্ষে, গুণমুগ্ধ শুভাকাঙ্ক্ষীগণ 'অভিনন্দন-গীত' নামক একটি কবিতা উৎসর্গ করেন। এছাড়া 'বর্ধমানের পক্ষ থেকে বিদ্রোহী -কবির অভিনন্দন' নামক রচনা এই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। রচয়িতা শ্রীশক্তিপদ ভট্টাচার্য্য। [পৃষ্ঠা: ১৫]

প্রথম বর্ষ।  চতুর্দশ সংখ্যা [৩০ আশ্বিন ১৩২৯, মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর ১৯২২]

  1. সম্পাদকীয় 'কামাল'  পৃষ্ঠা: ৩]

প্রথম বর্ষ।  পঞ্চদশ সংখ্যা [৩ কার্তিক ১৩২৯, শুক্রবার ২০ অক্টোবর ১৯২২]

  1. সম্পাদকীয় 'দেওয়ালী উৎসব'  পৃষ্ঠা: ৩]

প্রথম বর্ষ।  ষোড়শ সংখ্যা [৭ কার্তিক ১৩২৯, মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ১৯২২]

  1. রণভেরী [কবিতা] পৃষ্ঠা: ৩-৪]

প্রথম বর্ষ।  সপ্তদশ সংখ্যা [১০ কার্তিক ১৩২৯, শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ১৯২২]

  1. দুঃশাসনের রক্ত [কবিতা] পৃষ্ঠা: ৩-৪] ভাঙার গান- কাব্যগ্রন্থ।

প্রথম বর্ষ।  অষ্টাদশ সংখ্যা [১৪ কার্তিক ১৩২৯, মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ১৯২২]

  1. আমি সৈনিক [সম্পাদকীয়] পৃষ্ঠা: ৩] দুর্দিনের যাত্রী- কাব্যগ্রন্থ।

প্রথম বর্ষ।  ঊনবিংশ সংখ্যা [১৭ কার্তিক ১৩২৯, শুক্রবার ৩ নভেম্বর ১৯২২]

  1. নিশান-বরদার [পতাকা-বাহী। সম্পাদকীয়] পৃষ্ঠা: ৩]

প্রথম বর্ষ।  বিংশ সংখ্যা [২১ কার্তিক ১৩২৯, মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর ১৯২২]

  1. ভিক্ষা দাও [সম্পাদকীয় পৃষ্ঠা: ৩]

প্রথম বর্ষ।  দ্বাবিংশ সংখ্যা [১ অগ্রহায়ণ ১৩২৯, মঙ্গলবার ১৭ নভেম্বর ১৯২২]
এই সংখ্যার সারথি- অমরেশ কাঞ্জিলাল। এই সংখ্যায় পুলি

  1. অমার ধর্ম [সম্পাদকীয় পৃষ্ঠা: ৩]

  2. অদর্শনের কৈফিয়ত [কবিতা। পৃষ্ঠা: ৩-৪

  3. ভাইয়ের ডাক [প্রবন্ধ। পৃষ্ঠ: ৪]]

প্রথম বর্ষ।  ষড়্‌বিংশ সংখ্যা [২৬ অগ্রহায়ণ ১৩২৯, মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ১৯২২]
প্রতিষ্ঠাতা: কাজী নজরুল ইসলাম
সহকারী সম্পাদক- জিতেন্দ্রনাথ লাহিড়ি

  1. তরুণের বিদ্রাহ [সম্পাদকীয়] ৩]

  2. মন বুঝানো [কবিতা। রচনা সারথী। নজরুলের কবিতা কিনা সংশয় আছে]

  3. বহ্ন্যুৎসব। পৃষ্ঠা: ৭। [রচয়িতার নাম নেই]

  4. নপুংসকের ন্যাকামি ৭-৮। [রচয়িতার নাম নেই]


প্রথম বর্ষ।  সপ্ত‌বিংশ সংখ্যা [২৯ অগ্রহায়ণ ১৩২৯, শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর ১৯২২]
প্রতিষ্ঠাতা: কাজী নজরুল ইসলাম
সারথি: অমরেশ কাঞ্জিলাল
সহকারী সারথী- জিতেন্দ্রনাথ লাহিড়ি

এই সংখ্যায় পত্রিকা র প্রকাশের দিন পাল্টানোর কথা লেখা হয়। লেখাটি ছিল- 'প্রেসের সুবিধার জন্য সামনের সংখ্যা থেকে ধূমকেতু প্রতি বুধবার ও শনিবারে দেখা দেবে।'
 

  1. নামবিহীন সম্পাদকীয়। পৃষ্ঠা ৩-৪
     

প্রথম বর্ষ।  ২৮শ সংখ্যা [৫ পৌষ ১৩২৯, বুধবার ২০ ডিসেম্বর ১৯২২]
প্রতিষ্ঠাতা: কাজী নজরুল ইসলাম
সারথি: অমরেশ কাঞ্জিলাল

  1. সম্পাদকীয় [লাঞ্ছিত। পৃষ্ঠা: ৩]

প্রথম বর্ষ।  ২৯শ সংখ্যা [৮ পৌষ ১৩২৯, শনিবার ২৩ ডিসেম্বর ১৯২২]
প্রতিষ্ঠাতা: কাজী নজরুল ইসলাম
সারথি: অমরেশ কাঞ্জিলাল

  1. সম্পাদকীয় [ভাববার কথা। পৃষ্ঠা: ৩]

প্রথম বর্ষ।  ৩০শ সংখ্যা [১২ পৌষ ১৩২৯, বুধবার ২৭ ডিসেম্বর ১৯২২]
প্রতিষ্ঠাতা: কাজী নজরুল ইসলাম
সারথি: অমরেশ কাঞ্জিলাল

  1. সম্পাদকীয় [মুশ্‌কিল। পৃষ্ঠা: ৩]

প্রথম বর্ষ।  ৩২ সংখ্যা [১৩ মাঘ ১৩২৯, বুধবার ২৭ জানুয়ারি ১৯২৩]
প্রতিষ্ঠাতা: কাজী নজরুল ইসলাম
সারথি: অমরেশ কাঞ্জিলাল

  1. সম্পাদকীয় [রাজবন্দীর জবানবন্দী। পৃষ্ঠা: ৪]



এই পত্রিকায় প্রকাশিত নজরু
লের রচনা

প্রথমবর্ষ। প্রথম সংখ্যা [১১ আগষ্ট ১৯২২ (শুক্রবার, ২৬ শ্রাবণ ১৩২৯)।

  1. সম্পাদকীয়। সারথী পথের খবর ৩-৪। রুদ্র-মঙ্গল প্রবন্ধগ্রন্থে 'আমার পথ' শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

  2. ধূমকেতু। পৃষ্ঠা ৪-৫। অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

  3. বিদ্রোহী। প্রথম সংখ্যা। সানাই-এর পোঁ। এই কবিতার শেষে বলা হয়, 'এই কবিতাটি প্রথমে 'মোস্‌লেম ভারতে' বের হয়। পরে এটা 'বিজলী' 'প্রবাসী' প্রভৃতি পত্রিকায় উদ্ধৃত হয়।...'।  নজরুলের এই কবিতার অনুকরণে শ্রীপ্রভাতমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় 'দীন' নামক একটি কবিতা। কবিতাটি এই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়ছিল। পৃষ্ঠা: ১১পৃষ্ঠা: ৯-১১]

  4. ল্যাবেন্ডিশ-বাহিনীর বিজাতীয় সঙ্গীত। কে বলে মোদেরে ল্যাডাগ্যাপচার [গান-২৩৮৬] [তথ্য]
    পৃষ্ঠা: ১৩ ]

প্রথমবর্ষ। দ্বিতীয় সংখ্যা [৩০ শ্রাবণ  ১৩২৯, মঙ্গলবার, ১৫ আগষ্ট ১৯২২। ]

  1. জাগরণী। ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও [গান-২৩৪৩]  [তথ্য]
    দ্বিতীয় সংখ্যা [৩০ শ্রাবণ  ১৩২৯, মঙ্গলবার, ১৫ আগষ্ট ১৯২২। পৃষ্ঠা: ৩] পরে জাগৃহি শিরোনামে বিষের বাংশী কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

  2. সম্পাদকীয়: কাণার বোঝা কুঁজোর ঘাড়ে। পৃষ্ঠা: ৩-৪

প্রথমবর্ষ।  তৃতীয়য় সংখ্যা [১লা ভাদ্র  ১৩২৯, শুক্রবার ১৮ আগষ্ট ১৯২২]

  1. সম্পাদকীয়। রুদ্র-মঙ্গল। ৩ । রুদ্র-মঙ্গল প্রবন্ধগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  2. আগ্‌ডুম বাগ্‌ডুম। পৃষ্ঠা: ৩

 

প্রথমবর্ষ।  চতুর্থ সংখ্যা [ ভাদ্র  ১৩২৯, মঙ্গলবার ২২ আগষ্ট ১৯২২ ]

  1. সম্পাদকীয়। মোরা সবাই স্বাধীন সবাই রাজ। ৩। দুর্দিনের যাত্রী প্রবন্ধগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

  2. রক্তাম্বর-ধারিণী মা। পৃষ্ঠা: ৩। অগ্নিবীণা গ্রন্থে সংকলিত

  3. গত মঙ্গলাবার হুগলী জাতীয় বিদ্যামন্দিরে... নজরুল। পৃষ্ঠা ৯।

প্রথমবর্ষ।  পঞ্চম সংখ্যা [ ভাদ্র  ১৩২৯, শুক্রবার ২৫ আগষ্ট ১৯২২ ]

  1. সম্পাদকীয়: আমরা লক্ষ্মী-ছাড়ার দল। দুর্দিনের যাত্রী গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।