নজরুলসঙ্গীতের
ধর্মসঙ্গীত
উপপর্যায়: সনাতন হিন্দু ধর্ম।
বৈষ্ণব-সঙ্গীত
সনাতন হিন্দুধর্মের সাথে সম্পর্কীত গানের
সাধারণ নাম হলো- সনাতন হিন্দু ধর্মের গান। এই ধরনের গানের প্রধান দুটি ধারা হলো-
বৈষ্ণব সঙ্গীত ও শাক্তসঙ্গীত।
বৈষ্ণবসঙ্গীত: বৈষ্ণব সঙ্গীতের মূল
আরাধ্য দেবতা বিষ্ণু। নজরুলের রচিত বৈষ্ণব সঙ্গীতে বিষ্ণু
উপস্থাপিত হয়েছে দুটি ধারায়। এই ধারা দুটির মধ্যে বিষ্ণুর সাথে প্রত্যক্ষভাবে
সম্পর্কিত গানগুলোকে বলা যায় যথার্থ বৈষ্ণবসঙ্গীত। এই ধারায় বিষ্ণুকে পাওয়া যায়
স্বনামে এবং হরি নামান্তরে।
দ্বিতীয় ধারায় রয়েছে বিষ্ণুর অবতার হিসেবে- শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম এবং শ্রীচৈতন্যকে। এই
ধারায় নজরুলের রচিত গানগুলোর ভিতরে কৃষ্ণের সাথে সম্পর্কিত গানের সংখ্যা সর্বাধিক।
কৃষ্ণের চরিত্রের
কালানুক্রমিক সূত্রে প্রথমে ওঠে আসে আদি দেবতা বিষ্ণুর গান। তাই শ্রেণিকরণে
বিষ্ণুবিষয়ক গানগুলোকে প্রথমে স্থান দেওয়া হয়েছে।
- বিষ্ণু:
আদি দেবতা। জগতের পালনকরতা। বৈষ্ণবদের কাছে তিনি পরম প্রেমময়। নজরুলের গানে
বিষ্ণুকে- কেশব, নারয়ণ ও
হরি সম্বোধনে নামে পাওয়া যায়। এই জাতীয় গানে পাওয়া যায়,
বিষ্ণুর কাছে প্রার্থনা, বিষ্ণুর প্রতি ভক্তি। কোনো কোনো গানে তাঁকে পাওয়া অধরা
দেবতা হিসেবে। বিষয়ের বিচারে এই পর্বের গানগুলোকে- বন্দনা,
প্রার্থনা, ভক্তি ও হরি-প্রাপ্তি (মৃত্যু অর্থে নয়)
- বন্দনা
- ও মন চল অকূল পানে [তথ্য]
- ওরা মানুষের তরে মালা গাঁথে [
তথ্য]
- প্রার্থনা:
- অন্তরে তুমি আছ প্রেমময় ওহে হরি [তথ্য]
- অন্ধকারে দেখাও আলো [তথ্য]
- আমার সকলি হরেছ হরি [তথ্য]
- চির আপনার তুমি হে হরি [তথ্য]
- ভক্তি:
নজরুলের গানে হরিভক্তি উপস্থাপিত হয়েছে দুটি ধারায়। এর একটি হলো আরাধ্য
দেবতা হিসেবে । অন্যটি হলো- সংসারের বাস্তবতার বিচারে।
এ্ই বিচারে হরিভক্তিকে পাওয়া নেতিবাচক অর্থে।
- আরাধ্য দেবতা
- অবুঝ মোর আখিঁ-বারি [তথ্য]
- আমি বুকের ভিতর থাকি [তথ্য]
- সংসার বাস্তবতা
- অধরা: যথাস্থানে যথাযথভাবে অন্বেষণ না করলে হরি অধরা থাকেন।
- হরি-প্রাপ্তি: হরিপ্রাপ্তি হলো- হরিতে বিলীন হয়ে যাওয়া। সাধরণ
অর্থে মৃত্যু। এই জাতীয় গানে হরিপ্রাপ্তি হলো জীবদ্দশায় হরিকে পাওয়া।
এই জাতীয় গানে হরি বলতে- তাঁর কৃষ্ণ অবতারের কথা বলা হয়েছে। এই হরিকে ভয়, ভক্তি, পূজা দিয়ে পাওয়া যায় না।
তাঁকে পাওয়ার জন্য সরল মনে গোপীর মতো ভালবাসতে হয়। তবে হরিপ্রাপ্তি ঘটে।
বিষ্ণুর অবতার পর্ব:
- কৃষ্ণ ও বলরাম:
বিষ্ণুর
দ্বাপর যুগের একজন
অবতার এবং তাঁর মোট দশম
অবতারের ভিতর তাঁকে অষ্টম অবতার হিসেবে মান্য করা হয়।
এর সহযোগী হিসেবে বিষ্ণুর অপর অবতার ছিলেন বলরাম। কৃষ্ণ এবং বলরাম ছিলেন একই
পিতা
বসুদেবের ঔরসজাত সন্তান। এর ভিতরে
বসুদেবের ঔরসে
দেবকীর অষ্টম গর্ভে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল।
বসুদেবের অপর স্ত্রী
রোহিণীর গর্ভে বলরাম জন্মেছিলেন।
সনাতন হিন্দু ধর্মের পৌরাণিক কাহিনি সূত্রে জানা যায়-
কংস নামক অত্যাচারী রাজার (সম্পর্কে কৃষ্ণের মামা)
অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য
দেবতারা
ব্রহ্মার শরণাপন্ন হলে,
ব্রহ্মা সকল দেবতাদের নিয়ে সমুদ্রের ধারে বসে
বিষ্ণুর আরাধনা শুরু করেন।
বিষ্ণু সে আরাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁর সাদা ও কালো রঙের দুটি চুল
উপহার দিয়ে
বললেন যে,
বসুদেবের ঔরসে
দেবকীর সন্তান হিসাবে কৃষ্ণ হয়ে জন্মাবেন। কৃষ্ণের প্রতীক হলো কালো চুল।
তাঁর সহযোগী হবে
বলরাম, এর প্রতীক সাদা চুল। এই জন্মে এঁরা
কংসাসুরকে হত্যা করবেন।
নজরুলের সকল গানে কৃষ্ণই প্রাধান্য পেয়েছে। কোনো কোনো গানে বলরামকে পাওয়া যায়- প্রাসঙ্গিক চরিত্র হিসেবে।
- শ্রীচৈতন্য। গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের
মতে, তিনি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের অবতার। তিনি রাধা-কৃষ্ণকে ভগবানরূপে প্রচার করেন
এবং হরে-কৃষ্ণ-কে মহামন্ত্র জপে পরিণত করেন। তিনি শিষ্টাষ্টক মন্ত্রটি রচনা
করেন।
কালনুক্রমের বিচারে
কৃষ্ণ-বিষয়ক গানগুলোকে দ্বিতীয় পর্বের স্থান দেওয়া হলো।
অবতার কৃষ্ণ পর্ব: এই পর্বের মূল চরিত্র কৃষ্ণ, বলরাম তাঁর সহযোগী মাত্র।
কালানুক্রমের বিচারে কৃষ্ণের সাথে সম্পরিকত গানগুলোকে তিনটি পর্বে ভাগে ভাগ করা যায়।
এর প্রথম পর্বে রয়েছে কৃষ্ণের বৃন্দাবন লীলা। বৃন্দাবন পর্ব শেষে কৃষ্ণ মথুরায় চলে
যান- অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করা জন্য। এর ফলে কৃষ্ণবিহীন বৃন্দাবনবাসীর মনে
কৃষ্ণ-বিরহের হাহাকার ওঠে। এই সূত্রে নজরুলের রচিত গানগুলো মূলত কৃষ্ণপ্রেমের
রূপভেদ মাত্র।
মথুরা পর্ব শেষ করে কৃষ্ণ দ্বারকায় রাজধানী স্থাপন করে রাজত্ব করা শুরু করেন। এই
অধ্যায়ে পাওয়া যায়, তাঁর স্ত্রী রুক্মিণী সংক্রান্ত গান।
কৃষ্ণের বৃন্দাবন লীলার সাথে যে সকল চরিত্রের নাম পাওয়া যায়, তাঁর ভিতরে মুখ্য
স্থান দখল করে আছে- শ্রীরাধা। পৌরাণিক কাহিনিসূত্রে জানা যায়- গোলকধামের লক্ষ্মী ছিলেন বিষ্ণুর সঙ্গিনী । কৃষ্ণ তাঁরই
অবতার এবং তাঁর লীলাসঙ্গিনী রাধা। রাধাকৃষ্ণ লীলার সূত্রে পাওয়া
যায়- বৃন্দবনের অধিবাসীদের। বিশেষ করে রাধাকৃষ্ণ লীলার একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছ
গোপিনীরা। প্রসঙ্গক্রমে কৃষ্ণের বাল্যলীলায় পাওয়া যায় মা যশোদাকে। পাওয়া যায় রাধার
স্বামী আয়ন ঘোষ।
বিষ্ণু, লক্ষ্মী, কৃষ্ণ, রাধা কেন্দ্রিক সকল গানই
বৈষ্ণব সঙ্গীত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া পর্যায়ে রয়েছে-
কৃষ্ণের স্ত্রী রুক্মিণী'র গান। বৈষ্ণবরা মনে করেন- তিনি ছিলেন কৃষ্ণের
অন্যান্য স্ত্রীদের মধ্যে প্রধান। লক্ষ্মীর অবতার এবং সৌভাগ্যের দেবী হিসাবেও তাঁকে
মান্য করে থাকেন।
কপট ধর্মাচারীদের নিয়ে নজরুল কিছু ব্যঙ্গাত্মক বৈষ্ণব সঙ্গীত রচনা করেছিলেন। এই
জাতীয় গানে পাওয়া ভক্ত ব্যক্তিগত লোভ লালসাকে চরিতার্থ করার জন্য কপট ভক্তি দেখায়।
এই গানগুলোকে রঙ্গ-ব্যঙ্গ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নজরুলের রচিত বৈষ্ণব সঙ্গীতের একটি অংশ রচিত হয়েছিল স্বতন্ত্র গান হিসেবে। আর কিছু
গান রচিত হয়েছিল- গীতিআলেখ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে। এ সকল গানে বিষ্ণু, হরি, রাধাকৃষ্ণ
ইত্যাদি নানা ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
গীতি-আলেখ্যে
বৈষ্ণবসঙ্গীত
ভক্তি-অভক্তি
- অন্যান্য: এই জাতীয় গানে অবতার কৃষ্ণের
সাথে সম্পর্কিত কিছু বিশেষ গান। যেমন কৃষ্ণ এবং তাঁর স্ত্রী রুক্মিণী-কে
নিয়ে রচিত গান
- কৃষ্ণ-রুক্মিণী। মহেন্দ্রগুপ্তের রচিত নাটক 'রুক্সিনী মিলন'-এ
ব্যবহৃত নজরুলের রচিত গান।
কৃষ্ণ ও মুরলী:
এই জাতীয় গানে পাওয়া যায়, কৃষ্ণ ও তাঁর বাশী মুরলীর মহিমা। কৃষ্ণের বাঁশীর
সুর ছিল মূলত শৃঙ্গারধর্মী। রাধা-সহ ব্রজনারীদের কিভাবে প্রেমের মোহে
সম্মোহিত হতো- এই জাতীয় গানে তার আভাস পাওয়া যায়।
- মুরালীধ্বনি শুনি
ব্রজনারী [তথ্য]
- বৃন্দাবন-লীলা:
কৃষ্ণের বৃন্দাবন- লীলা ভিত্তিক গানগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা
যায়। ভাগ দুটি হলি- রাধাকৃষ্ণ লীলা, ও বিবিধ।
- রাধাকৃষ্ণ-লীলা: এই জাতীয় গান নজরুল রচনা
করেছিলেন - রাধাকৃষ্ণের বৃন্দাবন-ভিত্তিক প্রেমলীলাকে উপজীব্য করে ।
সামগ্রিকভাবে এই জাতীয় গানগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। ভাগ
দুটি হলো- সাধারণ ও উৎসব। এই জাতীয় গানে পাওয়া যায়- রাধাকৃষ্ণের প্রতি
ভক্তিমূলক গান এরং রাধাকৃষ্ণের প্রণয়ভিত্তিক গান।
- সাধারণ: এই অংশে বৃন্দাবনে
খেলে নন্দের আঙিঁনায় আনন্দ দুলাল
[তথ্য]
- রাধা-কৃষ্ণ ভক্তি
- আজো হেথা তেমনি ধারা বাজে শ্যামের বাঁশরি [তথ্য]
- আমার নয়নে কৃষ্ণ-নয়নতারা [তথ্য]
- কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল্ রসনা [তথ্য]
- রাধাকৃষ্ণের
প্রণয়: এই
শ্রেণির গানগুলো রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়ভিত্তিক গান, কোনো উপলক্ষ ছাড়াই রচিত
হয়েছিল। তবে বিষয়াঙ্গের বিচারে এই শ্রেণির গানগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমন- বিরহ, রঙ্গলীলা, অভিযোগ ও বিবিধ।
- অভিসার
- আমি কূল ছেড়ে চলিলাম ভেসে [তথ্য]
- আমি গিরিধারী সাথে মিলিতে যাইব [তথ্য]
- কৃষ্ণ-প্রিয়া লো! কেমনে যাবি [তথ্য]
- অন্তদর্দ্বন্দ্ব
- আমারে চরণে দিও ঠাঁই [তথ্য]
- ও কালো শশীরে,বাজায়ো না আর বাঁশি রে [তথ্য]
- কেন মরিতে আসিলাম যমুনায় [তথ্য]
- প্রণয়
- আমি কেন হেরিলাম (কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম) [তথ্য]
- আমার সকল আকাশ ভ'রলো [তথ্য]
- ওরে তরু তমাল শাখা [তথ্য]
- ওলো বিন্দে! গোবিন্দে [তথ্য]
- ঐ শ্যাম মুরলী বাজায় [তথ্য]
- ওলো বিশাখা,-ওলো ললিতে [তথ্য]
- কলঙ্কে মোর সকল দেহ [তথ্য]
- কালা এত ভাল কি হে কদম্ব তলা [তথ্য]
- কালো জল ঢালিতে সই [তথ্য]
- কালো পাহাড় আলো করে কে [তথ্য]
- কেন বাজাও বাঁশী কালোশশী [তথ্য]
- কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম [তথ্য]
- কোকিল সাধিলি কি বাদ [তথ্য]
- বিরহ: কৃষ্ণ-বিরহ দুটি ধারায় প্রবাহিত হয়েছে।
এর একটি ধারা হলো নিতান্তই বৃন্দাবন-লীলার অংশ। এই
লীলায় কৃষ্ণ কখনো কখনো নিজেকে লুকিয়ে রেখে- ব্রজবাসীর মনে বিরহের সৃষ্টি
করেছেন। দ্বিতীয় বিরহ উপস্থাপিত হয়েছে- বৃন্দাবন ছেড়ে চিরকালের জন্য চলে
যাওয়ার সূত্রে। কৃষ্ণ তাঁর বৃন্দাবন লীলার শেষ অধ্যায়ে কংসবধের জন্য,
মধুরায় যান। তারপর দ্বারকা-কেন্দ্র রাজত্ব করে সেখানে অবস্থান করেন।
এরপর ঘটনাচক্রে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ জড়িয়ে পড়েন। জীবনের শেষাংশে তিনি
পায়ে আঘাত পেয়ে মৃত্যবরণ করেন। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনির উৎসরে বিচারে
কৃষ্ণচরিতের সামগ্রিক ধারায় দেখা যায়, কংসবধের সূত্রে তিনি বৃন্দাবন
ত্যাগ করে আর সেখানে ফিরে আসেন নি। এর ফলে বৃন্দাবনবাসীদের মনে যে
বিরহের ভাব সৃষ্টি হয়, নজরুলের একাধিক গানে তা উপস্থাপিত হয়েছে।
- আজ গেছ ভুলে! (আজ সে-সব)
[তথ্য]
- আমার মন যা'রে চায় [তথ্য]
- আর কত দুখ্ দেবে, বল মাধব বল [তথ্য]
- ও তুই যাস নে রাই-কিশোরী কদম্বতলাতে [তথ্য]
- ওরে মথুরবাসিনী, মোরে বল্ [তথ্য]
- তুমি আনন্দ ঘন-শ্যাম [তথ্য]
- বঁধু ফিরে এসো, আজো প্রাণের [তথ্য]
- রঙ্গ-লীলা
- আমি কলহেরি তরে কলহ করেছি [তথ্য]
- চাঁপা রঙের শাড়ি আমার [তথ্য]
- চুম্বক পাথর হায় লোহারে দেয় গালি [তথ্য]
- অভিযোগ
- আয়ান ঘোষ: আয়ান ঘোষের স্ত্রী ছিলেন রাধা। কিন্তু তিনি
ছিলেন কৃষ্ণের প্রেমে অধীরা। এই নিয়ে আয়ান ঘোষের যে অভিযোগ ছিল- এই
জাতীয় গানে তাই উপস্থাপিত হয়েছে।
- আমি দেখেছি তোর শ্যামে [তথ্য]
- কুল রাখ না-রাখ [তথ্য]
- উৎসব: রাধাকৃষ্ণের জন্য বসন্ত ও বর্ষায় বৈষ্ণবরা দুটি উৎসব করে থাকেন।
উৎসব দুটি হলো- হোরি বা হোলি (বসন্তের উৎসব) ও ঝুলনোৎসব (বর্ষাকালের উৎসব) ।
এর বাইরে আরও একটি উৎসবকে বৈষ্ণরা সাড়ম্বরে পালন করে থাকেন। এই উৎসবটি হলো-
রাসোৎসব।
- হোরি: বসন্তকালের ফাল্গুন মাসের দোল-পূর্ণিমায় রাধা-কৃষ্ণের লীলা-ভিত্তিক দোলোৎসব উপলক্ষে রচিত গানগুলোকে
বলা হয়- হোরির গান। এ সকল গানে পাওয়া যায়- ফাগুনের উতল হাওয়ার সাথে,
পলাশ-শিমূলের রাঙা ফুলরাশির বর্ণাঢ্য মহিমা। এ গানে থাকে- উৎসবে
যোগাদানের আহ্বান, কৃষ্ণের
আগমনের প্রতীক্ষা, রাধার-কৃষ্ণের মিলনোৎবের উচ্ছল আনন্দ।
- আহবান
- আয় গোপিনী খেলবি হোরি [তথ্য]
- আয় ওলো সই, খেলব খেলা [তথ্য]
- আয় লো আয় লো লগন যায় লো [তথ্য]
- প্রতীক্ষা
- গুঞ্জামালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা
[তথ্য]
- দোলপূর্ণিমা
- আজি দোল-পূর্ণিমাতে দুল্বি তোরা [তথ্য]
- ঐ কালো অঙ্গ রাঙা হবে [তথ্য]
- মিলনোৎসব:
- আজকে দোলের হিন্দোলায় [তথ্য]
- আজি নন্দদুলালের সাথে [তথ্য]
- আজি মনে মনে লাগে হোরি
[তথ্য]
- আনন্দ-দুলালী ব্রজ-বালার সনে [তথ্য]
- আবির-রাঙা আভীরা নারী (কৃষ্ণ কানাই খেলে) [তথ্য]
- কুমকুম আবির ফাগের ল'য়ে কালিকা [তথ্য]
- খুলেছে আজ রঙের দোকান [তথ্য]
- ব্রজ-গোপী খেলে হোরি [তথ্য]
- ঝুলনোৎসব
- আবার শ্রাবণ এলো ফিরে [তথ্য]
- এ ঘনঘোর রাতে
[তথ্য]
- এলো কৃষ্ণ কানাইয়া তমাল বনে [তথ্য]
- এসেছি তব দ্বারে [তথ্য]
- কাজরী গাহিয়া এসো গোপ-ললনা [তথ্য]
- কেন ঝুলনাতে একেলা দোলে [তথ্য]
- গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে [তথ্য]
- দোলে বন-তমালের ঝুলনাতে কিশোরী-কিশোর [তথ্য]
রাসোৎসব
- ওগো নন্দদুলাল নাচে ছন্দ তালে [তথ্য]
বিবিধ: রাধা-কৃষ্ণের বৃন্দাবন লীলার
সূত্রে নজরুল বেশকিছু গান রচনা করেছিলেন। এই গানগুলোতে কৃষ্ণের
বৃন্দাবন লীলার সাথে সম্পর্কিত হলেও, তা রাধা-কৃষ্ণের লীলা হয়ে ওঠে নি।
এই গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, যশোদার গান ও বৃন্দাবনে কৃষ্ণের সঙ্গীদের গান।
- যশোদার গান
- রাখালদের গান
- ও মা ফিরে এলে কানাই [তথ্য]
- ওরে মথুরবাসিনী, মোরে বল্ [তথ্য]
শ্রীচৈতন্য: বৈষ্ণবরা নদীয়ার শ্রীচৈতন্যকে
কৃষ্ণের অবতার হিসেবে মান্য করে থাকেন। নজরুলের রচিত
শ্রীচৈতন্য-বিষয়ক গান পাওয়া যায়- দুটি নাট্যগীতিতে। এ দুটি হলো- শ্রীশ্রী চৈতন্য-লীলা কীর্তন
এবং '
বিষ্ণুপ্রিয়া
নামক একটি অসমাপ্ত নাটক থেকে। এই গানগুলো হলো-
-
বন্দনা
- গঙ্গার বালুতটে খেলিছে কিশোর [তথ্য]
-
শ্রীশ্রী চৈতন্য-লীলা কীর্তন
[গীতি-আলেখ্যা]
- ওরে দেখে যা তোরা নদীয়ায়
[তথ্য]
- কাঁদবো না আর শচীদুল্লা [তথ্য]
- নাটুয়া ঠমকে যায় রহিয়া রহিয়া চায়
[তথ্য]
[নতুন গান]
- নিঠুর কপট সন্ন্যাসী
[তথ্য]
[নতুন গান]
- পথে কি দেখলে যেতে [তথ্য]
- বর্ণচোরা ঠাকুর এলো রসের নদীয়া
[তথ্য]
-
-
বিষ্ণুপ্রিয়া
(অসমাপ্ত নাটক)
- কানাই রে তোর চূড়া বাঁশরি [তথ্য]
-
- প্রথম দৃশ্য। মুকুন্দের গান।
- এ কি অপরূপ যুগল-মিলন
[তথ্য]
- দ্বিতীয় দৃশ্য। জনৈকা তরুণীর গান
- প্রেমপাশে পড়লে ধরা
[তথ্য]
- তৃতীয় দৃশ্য। কাঞ্চনার গান
- তা'র কে গড়িল গৌর-অঙ্গ
[তথ্য]
- তৃতীয় দৃশ্য। কাঞ্চনার গান
- চতুর্থ দৃশ্য। কাঞ্চনার গান
- সিনান করিতে গিয়েছিনু সই
[তথ্য]
- ষষ্ঠ দৃশ্য। কাঞ্চনার গান
- প্রথম যৌবনে এই প্রথম বিরহ গো
[তথ্য]
- কাল কাল করে গেল কতকাল
[তথ্য]
- সপ্তম দৃশ্য। নিমাই-এর গান
- নব কিশলয় শ্যামা তনু ঢল ঢল
[তথ্য]
- দশম দৃশ্য।
- বিদায় দে মা একবার দেখে আসি
[তথ্য]
ভিখারির গান
- কানাই রে তোর চূড়া বাঁশরি
[তথ্য]
নিত্যানন্দ ও কানাইয়ের গান।
- ত্রয়োদশ দৃশ্য।
- ফিরে যাও গৌর সুন্দর চঞ্চল মতি [তথ্য]
কাঞ্চনা ও নিমাইয়ের গান
- এই যুগল মিলন দেখ্ব ব'লে [তথ্য]
নিত্যানন্দের গান
অন্যান্য: রাধা-কৃষ্ণের বাইরে, অবতার কৃষ্ণের ব্যক্তি
-চরিতরে সাথে যুক্ত এমন কিছু গান আছ। যেমন-
- সীতা:
ত্রেতাযুগে ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেব রামের আবির্ভাব হয়েছিল।
প্রত্যক্ষভাবে
নজরুলের রচিত রাম -বিষয়ক
গান পাওয়া যায় না। তবে রামের স্ত্রী সীতার (লক্ষ্মী) মহিমা নিয়ে গানা পাওয়া
যায়। এই গানটি হলো-
- কমলা রূপিণী শক্তি-স্বরূপিনী [তথ্য]
রঙ্গব্যঙ্গ:
- গুঞ্জা-মঞ্জরী মালা [ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের
গান। বৈষ্ণবগান]
- বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও [তথ্য]
[ভক্তিগীতি। সাধারণ। প্রার্থনা। স্বদেশ]
-
হরি ভক্তি কি নাইয়া [গান-৩১৭১]
[তথ্য][ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের
গান। বৈষ্ণবগান]
-
হে ব্রজকুমার শোনো শোনো মোর [গান-২১৫২]
[তথ্য]
[ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের
গান। বৈষ্ণবগান]
- হে ব্রজবল্লভ [গান-৩১৭৩]
[তথ্য]
[ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান]
- হে মহামৌনী তব প্রশান্ত গম্ভীর বাণী [গান-৭৪৪]
[তথ্য]
[ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। সাধারণ]
- হে মহাশক্তি, তোমারে ফিরায়ে [গান-২১৫৩]
[তথ্য]
[ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান]
- হে মাধব দেখা দিলে [গান-৩১৭৪]
[তথ্য]
[ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান]
- হে মাধব,হে মাধব,হে মাধব [গান-৯০০]
[তথ্য]
[ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান ]
- হে মায়াবী ব'লে যাও [গান-২১৫৫]
[তথ্য]
[ভক্তি। সাধারণ। অনুযোগ]
- হেলে দুলে চলে বন -মালা গলে [গান-২১৫৮]
[তথ্য]
[ইসলামী। প্রার্থনা। নিবেদন (নবী)]