নজরুলসঙ্গীতের ধর্মসঙ্গীত
উপপর্যায়: সনাতন হিন্দু ধর্ম।
বৈষ্ণব-সঙ্গীত

সনাতন হিন্দুধর্মের সাথে সম্পর্কীত গানের সাধারণ নাম হলো- সনাতন হিন্দু ধর্মের গান। এই ধরনের গানের প্রধান দুটি ধারা হলো- বৈষ্ণব সঙ্গীত ও শাক্তসঙ্গীত।

বৈষ্ণবসঙ্গীত: বৈষ্ণব সঙ্গীতের মূল আরাধ্য দেবতা বিষ্ণু। নজরুলের রচিত বৈষ্ণব সঙ্গীতে বিষ্ণু উপস্থাপিত হয়েছে দুটি ধারায়। এই ধারা দুটির মধ্যে বিষ্ণুর সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত গানগুলোকে বলা যায় যথার্থ বৈষ্ণবসঙ্গীত। এই ধারায় বিষ্ণুকে পাওয়া যায় স্বনামে এবং হরি নামান্তরে।

দ্বিতীয় ধারায় রয়েছে বিষ্ণুর অবতার হিসেবে- শ্রীকৃষ্ণ, বলরাম এবং শ্রীচৈতন্যকে। এই ধারায় নজরুলের রচিত গানগুলোর ভিতরে কৃষ্ণের সাথে সম্পর্কিত গানের সংখ্যা সর্বাধিক।

কৃষ্ণের চরিত্রের কালানুক্রমিক সূত্রে প্রথমে ওঠে আসে আদি দেবতা বিষ্ণুর গান। তাই শ্রেণিকরণে বিষ্ণুবিষয়ক গানগুলোকে প্রথমে স্থান দেওয়া হয়েছে।

বিষ্ণুর অবতার পর্ব:

কালনুক্রমের বিচারে কৃষ্ণ-বিষয়ক গানগুলোকে দ্বিতীয় পর্বের স্থান দেওয়া হলো।

অবতার কৃষ্ণ পর্ব: এই পর্বের মূল চরিত্র কৃষ্ণ, বলরাম তাঁর সহযোগী মাত্র। কালানুক্রমের বিচারে কৃষ্ণের সাথে সম্পরিকত গানগুলোকে তিনটি পর্বে ভাগে ভাগ করা যায়। এর প্রথম পর্বে রয়েছে কৃষ্ণের বৃন্দাবন লীলা। বৃন্দাবন পর্ব শেষে কৃষ্ণ মথুরায় চলে যান- অত্যাচারী রাজা কংসকে হত্যা করা জন্য। এর ফলে কৃষ্ণবিহীন বৃন্দাবনবাসীর মনে কৃষ্ণ-বিরহের হাহাকার ওঠে। এই সূত্রে নজরুলের রচিত গানগুলো মূলত কৃষ্ণপ্রেমের রূপভেদ মাত্র।

মথুরা পর্ব শেষ করে কৃষ্ণ দ্বারকায় রাজধানী স্থাপন করে রাজত্ব করা শুরু করেন। এই অধ্যায়ে পাওয়া যায়, তাঁর স্ত্রী রুক্মিণী সংক্রান্ত গান।

কৃষ্ণের বৃন্দাবন লীলার সাথে যে সকল চরিত্রের নাম পাওয়া যায়, তাঁর ভিতরে মুখ্য স্থান দখল করে আছে- শ্রীরাধা। পৌরাণিক কাহিনিসূত্রে জানা যায়-
গোলকধামের লক্ষ্মী ছিলেন বিষ্ণুর সঙ্গিনী । কৃষ্ণ তাঁরই অবতার এবং তাঁর লীলাসঙ্গিনী রাধা। রাধাকৃষ্ণ লীলার সূত্রে পাওয়া যায়- বৃন্দবনের অধিবাসীদের। বিশেষ করে রাধাকৃষ্ণ লীলার একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছ গোপিনীরা। প্রসঙ্গক্রমে কৃষ্ণের বাল্যলীলায় পাওয়া যায় মা যশোদাকে। পাওয়া যায় রাধার স্বামী আয়ন ঘোষ।

বিষ্ণু, লক্ষ্মী, কৃষ্ণ, রাধা কেন্দ্রিক সকল গানই বৈষ্ণব সঙ্গীত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া পর্যায়ে রয়েছে- কৃষ্ণের স্ত্রী রুক্মিণী'র গান। বৈষ্ণবরা মনে করেন- তিনি ছিলেন কৃষ্ণের অন্যান্য স্ত্রীদের মধ্যে প্রধান। লক্ষ্মীর অবতার এবং সৌভাগ্যের দেবী হিসাবেও তাঁকে মান্য করে থাকেন।

কপট ধর্মাচারীদের নিয়ে নজরুল কিছু ব্যঙ্গাত্মক বৈষ্ণব সঙ্গীত রচনা করেছিলেন। এই জাতীয় গানে পাওয়া ভক্ত ব্যক্তিগত লোভ লালসাকে চরিতার্থ করার জন্য কপট ভক্তি দেখায়। এই গানগুলোকে রঙ্গ-ব্যঙ্গ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নজরুলের রচিত বৈষ্ণব সঙ্গীতের একটি অংশ রচিত হয়েছিল স্বতন্ত্র গান হিসেবে। আর কিছু গান রচিত হয়েছিল- গীতিআলেখ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে। এ সকল গানে বিষ্ণু, হরি, রাধাকৃষ্ণ ইত্যাদি নানা ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

গীতি-আলেখ্যে বৈষ্ণবসঙ্গীত


  1. গুঞ্জা-মঞ্জরী মালা [ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান]
  2. বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও [তথ্য] [ভক্তিগীতি। সাধারণ। প্রার্থনা। স্বদেশ]
  3. হরি ভক্তি কি নাইয়া [গান-৩১৭১] [তথ্য][ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান]
  4. হে ব্রজকুমার শোনো শোনো মোর [গান-২১৫২] [তথ্য] [ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান]
  5. হে ব্রজবল্লভ [গান-৩১৭৩] [তথ্য] [ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান]
  6. হে মহামৌনী তব প্রশান্ত গম্ভীর বাণী [গান-৭৪৪] [তথ্য] [ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। সাধারণ]
  7. হে মহাশক্তি, তোমারে ফিরায়ে [গান-২১৫৩] [তথ্য] [ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান]
  8. হে মাধব দেখা দিলে [গান-৩১৭৪] [তথ্য] [ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান]
  9. হে মাধব,হে মাধব,হে মাধব [গান-৯০০] [তথ্য]  [ভক্তিগীতি। ধর্মসঙ্গীত। হিন্দুধর্মের গান। বৈষ্ণবগান ]
  10. হে মায়াবী ব'লে যাও [গান-২১৫৫] [তথ্য] [ভক্তি। সাধারণ। অনুযোগ]
  11. হেলে দুলে চলে বন -মালা গলে [গান-২১৫৮] [তথ্য] [ইসলামী। প্রার্থনা। নিবেদন (নবী)]