৩১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স

নজরুলের ৩১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স শুরু হয়েছিল ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ (২৫ মে ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ)। শেষ হয়েছিল ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ (২৪শে মে ১৯৩১।


৭ই মে (বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৩৩৭) নজরুলের দ্বিতীয় সন্তান বুলবুল  (অরিন্দম খালেদ) বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয় মৃত্য হয়। এই সন্তানের মৃত্যুতে নজরুল খুব ভেঙে পড়েন। সন্তান বিয়োগ ব্যথার মধ্য দিয়ে, তাঁর ৩১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের সূচনা হয়েছিল।

২৬-৩১ মে ১৯৩০ (১১-১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৭)
নজরুলের ৩১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের শুরুর এই কয়েকদিনে কবি পরিবার (নজরুল, প্রমীলা নজরুল এবং গিরিবালা দেবী) শোকাগ্রস্ত স্থবির দশায় কেটেছে। অনেকের মতে নজরুল 'ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে‌' গানটি রচনা করেছিলেন বুলবুলের মৃত্যুর পরপরই। কিন্তু গানটি রচনার সুনির্দষ্ট তারিখ পাওয়া যায় না। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বুলবুল পত্রিকার ‌'মাঘ ১৩৪৪‌' (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮) সংখ্যায়।

জুন ১৯৩০ (১৮ জ্যৈষ্ঠ-১৫ আষাঢ় ১৩৩৭)
জুন মাসে নজরুল শোকের ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন। এই মাসে প্রকাশিত হয়েছিল নতুন পুরাতন মিলিয়ে ২টি কবিতা। ১টি গল্প ও ১টি গান। এগুলো হলো- জুলাই ১৯৩০ (১৬ আষাঢ়-১৫ শ্রাবণ ১৩৩৭)
এই মাসের প্রথম থেকেই নজরুল তাঁর-কৃত 'রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ'-এর অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এই মাসে প্রকাশিত অন্যান্য রচনাসমূহ আগষ্ট ১৯৩০ (১৬ শ্রাবণ-১৪ ভাদ্র ১৩৩৭)
৫ আগষ্ট (মঙ্গলবার ২০ শ্রাবণ ১৩৩৭) রাত ৮টায় কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে 'দ্বিজেন্দ্রলাল রজনী'। এই অনুষ্ঠানে নজরুল দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য শিল্পীরা ছিলেন- হরিদাস গোস্বামী, গৌরী চক্রবর্তী, সুষমা দেবী প্রমুখ। বেতার জগৎ থেকে জানা যায়, নজরুল এই অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ছিলেন।

প্রলয় শিখা
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত ষোড়শ কাব্যগ্রন্থ প্রলয় শিখা, ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে ৫০/২ মসজিদ বাড়ি স্ট্রিট, কলিকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। মুদ্রক: নজরুল ইসলাম। মহামায়া প্রেস, ১৯৩ কর্নওয়ালিস স্ট্রিট, কলিকাতা। পরিবেশক: ব্রজবিহারী বর্মণ, বর্মণ পাবলিশিং হাউস, কলিকাতা। এ বিষয়ে গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের প্রকাশক পৌলভী মঈনউদ্দীন হোসয়ন তঁর নিবেদন-এ লিখেছিলেন-
‌'কবি নজরুল নিজের নামে ও নিজের দায়িত্বে '‌প্রলয়-শিখা' প্রকাশ করিলেন, অর্থাৎ নিজেই প্রকাশক ও মুদ্রাকর হইলেন।'
কবিতা গান সেপ্টেম্বর ১৯৩০ (১৫ ভাদ্র - ১৩ আশ্বিন ১৩৩৭)
আগষ্ট মাসে প্রলয় শিখা প্রকাশের পরপরই সরকার গ্রন্থটিকে বাজেয়াপ্ত করার পাঁয়তারা শুরু করে। ৬ই সেপ্টেম্বর (শনিবার, ২০ ভাদ্র ১৩৩৭), তৎকালীন পাবলিক প্রসিকিউটর রায়বাহাদুর তারকানাথ সাধু ৪৮০ সংখ্যক পত্রে কলকাতা পুলিশের স্পশাল ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনারকে এই মর্মে জানান যে, নজরুলের প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থে বেশ কিছু আপত্তিকর অংশ রয়েছে যা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-ক ও ১২৪-ক ধারা অনুসারে ক্ষতিকারক হিসেবে প্রতীয়মান। তিনি ৯৯-ক ধারা অনুসারে গ্রন্থটি অবিলম্বে বেআইনি বলে ঘোষণা করার সুপারিশ করেন।

১৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার ২৯ ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ), পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্ট গ্রন্থটি বাজেয়াপ্ত করা এবং নজরুলকে গ্রেফতার করার পরামর্শ দেন।

১৭ই সেপ্টেম্বর  (বুধবার ৩১ ভাদ্র ১৩৩৭), সরকার ফৌজদারি দণ্ডবিধি ১২৪-ক এবং ১৫৩-ক ধারা অনুসারে এই গ্রন্থটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। সেই সাথে নজরুলকে গ্রেফতার করার আদেশ জারি করা হয়। এর প্রকাশিত গেজেট নম্বর ছিল ১৪০৮৭। বিচারক ছিলেন- চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট টি রকসবার্গ। এই গ্রন্থের অভিযুক্ত কবিতাগুলো ছিল- প্রলয় শিখা, যতীন দাস, পূজা-অভিনয়, হবে জয়, জাগরণ, নব-ভারতের হলদিঘাট।

১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভিতরে নজরুলের গান, বাংলা সঙ্গীত জগতে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছিল। বিশেষ করে দেশাত্মবোধক, বিভিন্ন জাগরণমূলক এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সহায়ক গানগুলো, তৎকালীন যুব সমাজের ভিতরে বিশেষভাবে উদ্দীপনার সঞ্চার করেছিল। এর সাথে যুক্ত হয়ে ছিল- নতুন ধারার গান। এ সকল গান বেতার, পত্রপত্রিকায় প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছিল প্রায় নিয়মিতভাবে। এছাড়া এই মাসে প্রকাশিত হয়েছিল স্বতন্ত্র সঙ্গীত সংকলন ‌'নজরুল গীতিকা'।

বেতারে নজরুল সঙ্গীত নজরুল গীতিকা
নজরুলের গান বিভিন্ন কাব্য ও সঙ্গীত সংকলনে স্থান পেলেও, নজরুলের অধিকাংশ গ্রন্থ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল। ফলে গানের বাণী সঙ্গীত পিপাসুদের কাছে তাঁর অনেক গানের বানী অপ্রাপ্য হয়ে উঠেছিল। তাই নজরুল স্বতন্ত্র সঙ্গীত-সংকলন প্রকাশে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। এই সূত্রে প্রকাশিত হয়েছিল- নজরুলের বিভিন্ন ভাবাদর্শের সঙ্গীত-সংকলন 'নজরুল গীতিকা।া।

গ্রন্থটির প্রথম প্রকাশকাল: ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ (ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)। প্রকাশক: শ্রীকালীকৃষ্ণ চক্রবর্তী, শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী এন্ড সন্স, ২১ নন্দকুমার চৌধুরী লেন, কলকাতা। প্রিন্টার: শ্রীমনোরঞ্জন, কালিকা প্রেস, ২১ নন্দকুমার চৌধুরী লেন, কলকাত। পৃষ্ঠা ৪+১৫১। মূল্য দেড় টাকা।

এই গ্রন্থে মোট গানের সংখ্যা ছিল ১২৭টি। এর ভিতরে নূতন গান ছিল ২৬টি। উৎসর্গ-এর গানটি ছাড়া  গানগুলোকে ১০টি ভাগে সাজানো হয়েছিল। এই ভাগগুলো হলো- ওমর খৈয়াম-গীতি, দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি, জাতীয় সঙ্গীত, ঠুংরী, গজল, টপ্পা, বাউল-ভাটিয়ালী, ধ্রুপদ, হাসির গান ও খেয়াল। এ সকল পর্বে যে সকল নতুন গান রাখা হয়েছিল, তার তালিকা তুলে ধরা হলো।
  1. উৎসর্গ: আমার গানের বুলবুলিরা [তথ্য]
    এর সাথে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- কলিকাতা/ভাদ্র, ১৩৩৭।
  2. পর্ব ১: ওমর খৈয়াম-গীতি।
    এই বিভাগের গান সংখ্যা ৮ ৮টি। এর ভিতরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় গানটি উত্তরা পত্রিকার 'ভাদ্র ১৩৩৭' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। তবে এই গ্রন্থ প্রকাশের সময়ই প্রকাশিত হয়েছিল বলে, নূতন গান হিসেবে উল্লেখ করা হলো।
    1. সৃজন-ভোরে প্রভু মোরে [ওমর খৈয়াম-গীতি। ১ ] [তথ্য]
    2. পিও শরাব পিও [ওমর খৈয়াম-গীতি। ২] [তথ্য]
      গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল উত্তরা পত্রিকায় (ভাদ্র ১৩৩৭) গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
    3. কানন গিরি সিন্ধুপার  [ওমর খৈয়াম-গীতি। ৩] [তথ্য]
      গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল উত্তরা পত্রিকায় (ভাদ্র ১৩৩৭) গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
    4. আজ বাদে কাল আসবে কিনা  [ওমর খৈয়াম-গীতি। ৪] [তথ্য]
    5. তরুণ প্রেমিক প্রণয় বেদন [ওমর খৈয়াম-গীতি। ৫] [তথ্য]
    6. যেদিন লব বিদায় [ওমর খৈয়াম-গীতি। ৬ ] [তথ্য]
    7. কোন্ মাটিতে আমার কায়া [ওমর খৈয়াম-গীতি।৭] [তথ্য]
    8. রে অবোধ শূন্য শুধু যেদিন লব বিদায় [ওমর খৈয়াম-গীতি। ৮] [তথ্য]
       
    পর্ব ২: দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি
    গান সংখ্যা ৮। এর ভিতরে ১টি গান 'আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি'- জয়তী পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। ফলে এই পর্বের যুক্ত হয়েছিল ৭টি নতুন গান।
     
    1. আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি [গান-১৮১৯] [তথ্য]
      জয়তী পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
    2. আমরা পানের নেশায় পাগল [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ২] [তথ্য]
    3. ভোরের হাওয়া ! ধীরে ধীরে  [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৩] [তথ্য]
    4. আজ সুদিনের আস্‌ল ঊষা [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৪] [তথ্য]
    5. আস্‌ল যখন ফুলের ফাগুন [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৫] [তথ্য]
    6. ঐ লুকায় রবি লাজে [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৬] [তথ্য]
    7. দোষ দিও না প্রবীণ জ্ঞানী  [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৭] [তথ্য]
    8. চাঁদের মতন রূপ পেল [দীওয়ান-ই-হাফিজ গীতি। ৮] [তথ্য]
    পর্ব ৩: জাতীয় সঙ্গীত
    এই বিভাগের গান সংখ্যা ১৪। এর ভিতরে ১৪টি গান পূর্বে রচিত।
    1. দুর্গম গিরি কান্তার মরু [জাতীয় সঙ্গীত ১] [তথ্য]
      সর্বহারা কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ' কাণ্ডারী হুঁশিয়ারী ' শিরোনামের এই গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'কৃষ্ণনগর ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩' [বৃহস্পতিবার, ২০ মে ১৯২৬ ]।
    2. আমরা শক্তি আমরা বল [জাতীয় সঙ্গীত ২]  [তথ্য]
      সর্বহারা কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ' ছাত্রদলের গান' শিরোনামের এই গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'কৃষ্ণনগর ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৩'।
    3. টলমল টলমল পদভরে [জাতীয় সঙ্গীত ৩] [তথ্য]
      গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে প্রস্তাবনা'র গান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে'  বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
    4. যে দুর্দিনের নেমেছে বাদল  [জাতীয় সঙ্গীত ৪] [তথ্য]
      'ছাত্র' পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
    5. চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ (ঊর্ধ্বগগনে)  [জাতীয় সঙ্গীত ৫] [তথ্য]
      ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে (ফাল্গুন ১৩৩৪) ঢাকায় মুসলিম সাহিত্য-সমাজের দ্বিতীয় বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে নজরুল ঢাকায় আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হলের তৎকালীন হাউস টিউটর অধ্যাপক সৈয়দ আবুল হোসেনের বাসায় ওঠেন। এই বাসাতে নজরুল এই গানটি রচনা করেন।
    6. বাজলো কি রে ভোরের সানাই [জাতীয় সঙ্গীত ৬] [তথ্য]
      মোয়াজ্জিন পত্রিকার 'কার্তিক ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
    7. আসিলে কে গো অতিথি  [জাতীয় সঙ্গীত ৭] [তথ্য]
    8. ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
    9. অগ্রপথিক হে সেনাদল [জাতীয় সঙ্গীত ৮] [তথ্য]
      শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপত্র) ও সওগাত পত্রিকার চৈত্র ১৩৩৩ (মার্চ-এপ্রিল ১৯২৭) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
    10. জাগো অনশন বন্দী ওঠ রে যত [জাতীয় সঙ্গীত ৯][তথ্য]
      ফণি-মনসা প্রথম সংস্করণ [শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ (জুলাই ১৯২৭)] 'অন্তর-ন্যাশনাল সঙ্গীত' শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটির সাথে রচনার স্থান ও কালের উল্লেখ আছে- 'কলিকাতা। ১লা বৈশাখ ১৩৩৪' (বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল ১৯২৭)। গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল গণবাণী পত্রিকার '৮ই বৈশাখ ১৯৩৪' সংখ্যায়।
    11. কোন অতীতের আঁধার ভেদিয়া [জাতীয় সঙ্গীত ১০] [তথ্য]
      ফণি-মনসা' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত এই গানটির সাথে রচনার তারিখ উল্লেখ আছে 'মাদারিপুর ২৯শে ফাল্গুন ১৩৩২'।
    12. তোরা সব জয়ধ্বনি কর [জাতীয় সঙ্গীত ১১][তথ্য]
      ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে  ভারতজুড়ে চলছিল অসহযোগ আন্দোলন। এই সূত্রে ১৫-১৬ এপ্রিল কংগ্রের বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রামে। এই সময় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস কারাগারে ছিলেন। তাই তাঁর স্ত্রী বাসন্তী দেবী এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। এই সভায় ব্রিটিশদের সকল বিধিতে বাধা দেওয়ার নতুন অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। কমিল্লায় বসে এই সংবাদ শুনে নজরুল উল্লসিত হন এবং এই গানটি রচনা করেন।
    13. অমর কানন মোদের অমর কানন [জাতীয় সঙ্গীত ১২][তথ্য]
      গানটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থে 'অমর-কানন' শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটির নিচে স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া/আষাঢ় ১৩৩২।
    14. জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা [জাতীয় সঙ্গীত ১৩][তথ্য]
      গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে'  বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
    15. মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম [জাতীয় সঙ্গীত ১৪][তথ্য]
      ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত ছায়ানট কাব্যগ্রন্থে কবিতা হিসেবে ছায়ানট কাব্যে 'পাহাড়ী গান শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটির সাথে স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- হুগলি/আষাঢ়্ ১৩৩১।
       
    পর্ব ৪: ঠুংরী
    গান সংখ্যা ১৫। এর সবগুলো গান আগে রচিত হয়েছিল।
    1. ভোরের হাওয়া এলে [ঠুংরী ১] [তথ্য]
       'আলেয়া' গীতিনাট্যে হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে'  বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
    2. কোথা চাঁদ আমার [ঠুংরী ২] [তথ্য]
    3. আধো ধরণী আলো আধো আঁধার [ঠুংরী ৩][তথ্য]
      'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে'  বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
    4. একডালি ফুলে ওরে [ঠুংরী ৪] [তথ্য]
      ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে নজরুলের রচিত ও সুরোপিত মোট ১৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল । এর আগে এই গানটি অন্য কোনো মাধ্যমে প্রচারিত বা কোনো গ্রন্থাদিতে প্রকাশিত হয় নি। ধারণা করা হয়, এই নাটকের জন্যই ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন।
    5. নামহারা ঐ গাঙের পারে [ঠুংরী ৫][তথ্য]
       ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'ছায়ানট' কাব্যে এই গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটির নিচে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-' কুমিল্লা/জ্যৈষ্ঠ ১৩২৯'।
    6. তুমি আমায় ভালোবাস তাই তো আমি কবি [ঠুংরী ৬] [তথ্য]
      ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে 'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত গানটির শিরোনাম ছিল 'কবি-রানি'। গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ  উল্লেখ ছিল না। প্রকাশের বিচারে বলা যায় গানটি ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের আগেই রচিত হয়েছিল।
    7. আমি শ্রান্ত হয়ে আস্‌ব যখন [ঠুংরী ৭] [তথ্য]
      ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে 'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত গানটির শিরোনাম ছিল 'আশা'। গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ  উল্লেখ ছিল না। প্রকাশের বিচারে বলা যায় গানটি ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের আগেই রচিত হয়েছিল।
    8. আজ চোখের জলে প্রার্থনা মোর  [ঠুংরী ৮]  [তথ্য]
      ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে 'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত গানটির শিরোনাম ছিল 'আশা'। গানটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ  উল্লেখ ছিল না। প্রকাশের বিচারে বলা যায় গানটি ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের আগেই রচিত হয়েছিল।
    9. ছাড়িতে পরান নাহি চায় [ঠুংরী ৯] [তথ্য]
      ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
    10. আঁধার রাতে কে গো একেলা [ঠুংরী ১০] [তথ্য]
      'আলেয়া' গীতিনাট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে'  বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
    11. আমার কোন কূলে আজ ভিড়লো তরী [ঠুংরী ১১] [তথ্য]
      রচনার স্থান ও তারিখ। ঢাকা আষাঢ় ১৩৩৫।
    12. হাজার তারার হার হয়ে গো [ঠুংরী ১২] [তথ্য]
      নওরোজ পত্রিকার শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল 'সারা ব্রিজ (সেঁতুবন্ধ) নাটক। এই নাটকের সাথে এই গানটিও মুদ্রিত হয়েছিল। সম্ভবত এই নাটকটি তিনি ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে রচনা করেছিলেন।
    13. কেন দিলে এ কাঁটা যদি গো কুসুম দিলে [ঠুংরী ১৩] [তথ্য]
      নওরোজ পত্রিকার ' ভাদ্র ১৩৩৪' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
    14. সখি ব'লো বধুঁয়ারে নিরজনে (ব'লো বঁধুয়া রে) [ঠুংরী ১৪][তথ্য]
      সওগাত পত্রিকার ‌'‌চৈত্র ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ‌ সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
    15. কি হবে জানিয়া বল [ঠুংরী ১৫] [তথ্য]
      নওরোজ পত্রিকার ' ভাদ্র ১৩৩৪' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।  রচনার স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ নেই । ধারণা করা হয়, নজরুল এই গানটি রচনা করেছিলেন ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে।
পর্ব ৫: গজল
গান সংখ্যা ২৬টি। এর ভিতরে ২৫টি গানই পূর্বে রচিত হয়েছিল।
  1. রেশমি চুড়ির শিঞ্জিনীতে [গজল ১] [তথ্য]
    রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে- 'দৌলৎপুর/কুমিল্লা/বৈশাখ ১৩২৭'।
  2. বেসুর বীণায় ব্যথার সুরে [গজল ২] [তথ্য]
    গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে'  বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
  3. দুলে আলো শতদল ‌‌[গজল ৩] [তথ্য]
    গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে'  বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
  4. পথে পথে ফের সাথে  ‌‌[গজল ৪]  [তথ্য]
    উত্তরা পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৭ সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকশিত হয়েছিল।
  5. বউ কথা কও বউ কথা কও  ‌‌[গজল ৫]  [তথ্য]
    ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে নজরুলের রচিত ও সুরোপিত মোট ১৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল । এর আগে এই গানটি অন্য কোনো মাধ্যমে প্রচারিত বা কোনো গ্রন্থাদিতে প্রকাশিত হয় নি। ধারণা করা হয়, এই নাটকের জন্যই ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন।
  6. ফাগুন-রাতের ফুলের নেশায়  ‌‌[গজল ৬]  [তথ্য]
    ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন, (আষাঢ় ১৩৩৬) কলকাতার মনোমোহন থিয়েটার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত রক্তকমল নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে প্রথম এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
  7. কেউ ভোলে না কেউ ভোলে ‌‌[গজল ৭] [তথ্য]
     ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন,(আষাঢ় ১৩৩৬) কলকাতার মনোমোহন থিয়েটার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত রক্তকমল নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে প্রথম এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
  8. মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর ‌‌[গজল ৮]  [তথ্য]
    ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন,(আষাঢ় ১৩৩৬) কলকাতার মনোমোহন থিয়েটার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত রক্তকমল নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে প্রথম এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
  9. আজ বাদল ঝরে (আজি বাদল ঝরে) ‌‌[গজল ৯] [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  10. বাগিচায় বুলবুলি তুই ‌‌[গজল ১০][তথ্য]
    গানটি কল্লোল পত্রিকার 'মাঘ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। রচনার স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ আছে - কৃষ্ণনগর, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৩৩৩'।
  11. আমারে চোখ ইশারায় ‌‌[গজল ১১][তথ্য]
    কল্লোল পত্রিকার 'চৈত্র ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় (মার্চ, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। 
  12. বসিয়া বিজনে কেন একা মনে ‌‌[গজল ১২] [তথ্য]
    কল্লোল পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় (ফেব্রুয়ারি, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
  13. ভুলি কেমনে আজো যে মনে ‌‌[গজল ১৩] [তথ্য]
    কল্লোল পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় (ফেব্রুয়ারি, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
  14. কে বিদেশী বন-উদাসী  ‌‌[গজল ১৪][তথ্য]
    গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল সওগাত পত্রিকার 'পৌষ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়।
  15. করুণ কেন অরুণ আখিঁ  ‌‌[গজল ১৫] [তথ্য]
    বঙ্গবাণী পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় (মে, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
  16. এত জল ও-কাজল চোখ  ‌‌[গজল ১৬]  [তথ্য]
    বঙ্গবাণী পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় (মে, ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
  17. দুরন্ত বায়ু পূববইয়াঁ ‌‌[গজল ১৭]  ‌[তথ্য]
    সওগাত পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত নাটকটির সাথে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- ' কৃষ্ণনগর, ১ পৌষ ১৩৩৩'।
  18. নিশি ভোর হল জাগিয়া ‌‌[গজল ১৮] [তথ্য]
    প্রগতি পত্রিকার 'চৈত্র ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
  19. নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল ‌‌[গজল ১৯] [তথ্য]
    গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কালিকলম পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৫' সংখ্যায়।  রচনার স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ নেই ।
  20. এ আঁখি জল মোছ প্রিয়া ‌[গজল ২০] [তথ্য]
    কল্লোল পত্রিকার 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ' (মে ১৯২৭) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
  21. রুম্‌ ঝুম্‌ রুম্‌ ঝুম্‌ কে এলে নূপুর পায় ‌[গজল ২১]  [তথ্য]
    ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'বুলবুল' নামক সঙ্গীত-সংকলনে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  22. কেন আন ফুলডোর আজি বিদায় বেলা ‌[গজল ২২][তথ্য]
    ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের ১৯শে অগ্রহায়ণ, মুর্শিদাবাদের নিমতিতা'য় গানটি রচিত হয়েছিল।
  23. কেমনে রাখি আঁখি-বারি চাপিয়া [গজল ২৩] [তথ্য]
    সওগাত পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
  24. মুসাফির, মোছ্ ‌রে আঁখি -জল  [গজল ২৪] [তথ্য]
    ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'বুলবুল' নামক সঙ্গীত-সংকলনের দ্বিতীয় সংস্করণ।
  25. এ নহে বিলাস বন্ধু [গজল ২৫] [তথ্য]
    ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'বুলবুল' নামক সঙ্গীত-সংকলনের দ্বিতীয় সংস্করণ।
  26. রঙ-মহলের রঙ-মশাল মোরা [গজল ২৬][তথ্য]
    ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে ডিসেম্বর মনিমোহন থিয়েটারে মণিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত 'জাহাঙ্গীর' নামক একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। ওই নাটকে বাদীগণের গান হিসেবে নজরুলের রচিত এই নতুন গানটি পরিবেশিত হয়েছিল।
পর্ব ৬: টপ্পা
গান সংখ্যা ৬টি। এই পর্বের সকল গানই পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল।
  1. আজি এ কুসুম-হার [টপ্পা-১][তথ্য]
    গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৫' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।  
  2. এই নীরব নিশীথ রাতে [টপ্পা-২] [তথ্য]
     গানটির নিচে রচনা ও স্থানের তারিখ ছিল- 'কলিকাতা/ফাল্গুন ১৩২৭।
  3. কোন মরমীর মরম-ব্যথা আমার বুকে বেদনা হানে [টপ্পা-৩][তথ্য]
    রচনার তারিখ  'বরিশাল আশ্বিন ১৩২৭' (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯২০)
  4. আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন   [টপ্পা-৩][তথ্য]
    ছায়ানট -এর প্রথম সংস্করণে [২২ সেপ্টেম্বর ১৯২৫, ৬ আশ্বিন ১৩৩২] গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল আপন পিয়াসী শিরোনামে। গানটির সাথে রচনার স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ আছে- 'কলিকাতা/আষাঢ় ১৩৩১।
  5. আজ নতুন করে পড়ল মনে মনের মতনে [টপ্পা-৫] [তথ্য]
    গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকার শ্রাব্ণ ১৩২৭ বঙ্গাব্দ সংখ্যায়। ধারণা করা হয়, গানটি রচিত হয়েছিল আষাঢ় মাসের দিকে। এই সময় তিনি মুজফ্‌ফর আহমেদের সাথে কলকাতার 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির'র অফিসে বাস করতেন।
  6. আদর-গরগর বাদর দরদর [টপ্পা-৬] [তথ্য]
    ১৩৩২ বঙ্গাব্দের প্রকাশিত 'ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থে 'বাদল দিনে' নামে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। গানটির নিচে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে- 'কলিকাতা শ্রাবণ ১৩২৮'।
পর্ব ৭: কীর্তন
এই পর্বে পূর্বে রচিত ও প্রকাশিত ২টি গান অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গান দুটি হলো-
  1. কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া [কীর্তন ১] [তথ্য]
    ১৩৩৬ ব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
  2. আমি কি সুখে লো গৃহে রবো  [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পর্ব ৮: বাউল-ভাটিয়ালি
গান সংখ্যা ৭টি। এর ভিতরে ৭টি গানই পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল।
  1. নিরুদ্দেশের পথে যেদিন [বাউল-১] [তথ্য]
    'ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থে গানটির রচনার তারিখ উল্লেখ আছে 'কলিকাতা/চৈত্র ১৩২৭'। 
  2. ঐ ঘাসের ফুল [বাউল-২] [তথ্য]
    ১৩৩২ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে 'ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণে এই গানটি যখন অন্তর্ভুক্ত হয়। এর শিরোনাম হয় 'অ-কেজোর গান'। এই গ্রন্থে রচনাটির নিচে 'দেওঘর/ পৌষ ১৩২৭' লেখা আছে।
  3. কোন্ সুদূরের চেনা বাঁশি [বাউল-৩] [তথ্য]
    ছায়ানট কাব্যগ্রন্থে গানটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে -'কলিকাতা/শ্রাবণ, ১৩২৮। কিন্তু গানটি ভারতী পত্রিকার  'বৈশাখ ১৩২৮ ' সংখ্যার ৭০ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হয়েছিল।
  4. আমার গহীন জলের নদী [বাউল-৪][তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  5. আমার সাম্পান যাত্রী না লয় (আমার এ না' যাত্রী না লয়)  [ভাটিয়ালী-১][তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। 
  6. পউষ এলো গো! [বাউল-৫][তথ্য]
    গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রবাসী পত্রিকার 'মাঘ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এই সময় নজরুল ডিসেম্বর মাসে নজরুল প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন।
  7. বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে [বাউল-৬] [তথ্য]
    গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রবাসী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩২৯' (ফেব্রুয়ারি ১৯২৩) সংখ্যায়। শিরোনাম: 'পথহারা' [পৃষ্ঠ: ৬৭৭] । এরপর দোলন-চাঁপার প্রথম সংস্করণ [আশ্বিন ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (আগষ্ট ১৯২৪) গানটি 'পথহারা' শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পর্ব ৮: ধ্রুপদ
গান সংখ্যা ৬টি। এর ভিতরে ১টি গান ছিল নতুন।
  1. আমি ছন্দ ভুল চির-সুন্দরের নাট-নৃত্যে গো [ তথ্য]
  2. হিন্দোলি' হিন্দোলি' ওঠে নীল [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  3. দুলে চরাচর হিন্দোল-দোল [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  4. গরজে গম্ভীর গগনে কম্বু [তথ্য]
    নওরোজ পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ সংখ্যা'য় প্রকাশিত হয়েছিল 'ঝিলিমিল' নামক একটি একাঙ্কিকা প্রকাশিত হয়েছিল। একাঙ্কিকাটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ করা হয়েছিল- কৃষ্ণনগর, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪।
  5. সাজিয়াছ যোগী বল কার লাগি [তথ্য]
    ১৩৩৫ বঙ্গাব্দে চৈত্র মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'বুলবুল' নামক সঙ্গীত-সংকলনের দ্বিতীয় সংস্করণ।
  6. কে শিব সুন্দর  [তথ্য]
    ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'বুলবুল' নামক সঙ্গীত-সংকলনে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
পর্ব ৯: হাসির গান
গান সংখ্যা ৬টি। এর ভিতরে ৫টি ছিল নতুন গান এই গ্রন্থে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। গানগুলো হলো-
  1. আমি তুরাগ ভাবিয়া মোড়গে চড়িনু  [তথ্য]
    জয়তী পত্রিকার শ্রাবণ ১৩৩৭ সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
  2. যদি শালের বন হতো[তথ্য]
  3. ডুবু ডুবু ধর্ম-তরী [তথ্য]
  4. নাচে মাড়োবার বালা [তথ্য]
  5. থাকিতে চরণ মরণে কি ভয় [তথ্য]
  6. বদ্‌‌না গাড়ুতে গলাগলি করে [তথ্য]
     
পর্ব ১০: খেয়াল গান
গান সংখ্যা ২৯টি। এর সকল গানই পূর্বে রচিত।
  1. ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর বাজে ঝনঝন  [তথ্য]
     
  2. গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে'  বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়।
  3. নাইয়া কর পার  [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  4. মোরা ছিনু একেলা হইনু দুজন [তথ্য]
    ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
  5. (ওগো) নতুন নেশায় আমার এ মদ [তথ্য]
    ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
  6. খোলো খোলো খোলো গো দুয়ার  [তথ্য]
    ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
  7. ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান  [তথ্য]
    ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
  8. আজি ঘুম নহে, নিশি জাগরণ [তথ্য]
    ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে মন্মথ রায় 'ময়মনসিংহ গীতিকা' অবলম্বনে মহুয়া নামক একটি নাটক রচনা করেছিলেন। এই নাটকটি ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কলকাতায় মনোমোহন থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
  9. চাঁদ হেরিছে চাঁদ-মুখ তার [তথ্য]
    গানটির নিচে রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-' হুগলি/ফাল্গুন ১৩৩১'।
  10. আজকে দেখি হিংসা-মদের [তথ্য]
    গানটির নিচে রচানার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-' কলিকাতা/আশ্বিন ১৩৩১'।
  11. পথের দেখা এ নহে গো বন্ধু    [তথ্য]
    সিন্ধু-হিন্দোল' কাব্যে গানটির রচনাকাল উল্লেখ আছে- হুগলি, ৩০শে কার্তিক ১৩৩২ ।
  12. পথিক ওগো চলতে পথে তোমায় আমায় [তথ্য]
    'সিন্ধু-হিন্দোল' কাব্যে গানটির রচনাকাল উল্লেখ আছে- 'বরিশাল আশ্বিন ১৩২৭'।
  13. পরজনমে দেখা হবে প্রিয় [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  14. মাধবী-তলে চল মাধবিকা-দল [তথ্য]
    গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল।
  15. দেখা দাও দেখা দাও ওগো  [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  16. বাজায়ে জল-চুড়ি কিঙ্কিণী [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  17. জাগো জাগো খোলো গো আঁখি [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  18. ওগো সুন্দর আমার [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  19. জনম জনম গেল আশা-পথ চাহি  [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। সওগাত পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ ১৩৩৬' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
  20. এলে কি শ্যামল পিয়া (ওগো) [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  21. চল্‌ সখি জল নিতে [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  22. ঝরিছে অঝোর বরষার বারি [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  23. আসিলে কে অতিথি সাঁঝে [তথ্য]
    গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল
  24. ঘেরিয়া গগন মেঘ আসে [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  25. ঘোর তিমির ছাইল [তথ্য]
    ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের জুন (আষাঢ় ১৩৩৬) কলকাতার মনোমোহন থিয়েটার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত রক্তকমল নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে প্রথম এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
  26. কার বাঁশরি বাজে মূলতানী সুরে [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  27. কে তুমি দূরের সাথী [তথ্য]
     গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল কল্লোল পত্রিকার 'শ্রাবণ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়।
  28. আজি এ শ্রাবণ-নিশি কাটে কেমনে [তথ্য]
    ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ (ডিসেম্বর ১৯২৯) মাসে প্রকাশিত 'চোখের চাতক' সঙ্গীত-সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
  29. স্মরণ পারের ওগো প্রিয় [তথ্য]
    নওরোজ পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ সংখ্যা'য় প্রকাশিত হয়েছিল 'ঝিলিমিল' নামক একটি একাঙ্কিকা প্রকাশিত হয়েছিল। একাঙ্কিকাটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ করা হয়েছিল- কৃষ্ণনগর, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৪। এই একাঙ্কিকাটির অংশ হিসেবে এই গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
  30. তুমি মলিন-বাসে থাক যখন [তথ্য]
    ১৩৩০ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে 'দোলন-চাঁপা' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত গানটির শিরোনাম ছিল 'সাধের ভিখারিনী'।
উল্লিখিত গ্রন্থের গানগুলো ছাড়া এই মাসে জয়তী পত্রিকার ‌'আশ্বিন ১৩৩৭‌' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রকাশিত হয়েছিল প্রলয় শিখা কাব্যগ্রন্থের  প্রথম অশ্রু নামক কবিতা।

অক্টোবর
১৯৩০ (১৪ আশ্বিন- ১৪ কার্তিক ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
এই মাসে নজরুল তাঁর নিষিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ প্রলয় শিখা এবং তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে এই মাসের শুরু হয়েছিল। এই মামলা নিয়ে নজরুল অত্যন্ত উৎকণ্ঠার ভিতর দিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। তিনি আইনজীবীদের সাথে কথা বলেন। এর সাথে ছিল তাঁর আর্থিক সমস্যা। ফলে এই মাসে তাঁর রচনা থেমে গিয়েছিল।

প্রলয় শিখা-মামলা'র অগ্রগতি
এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো- ইতিমধ্যে এইচএমভির রেকর্ডগুলো ছিল 'পি' সিরিজের। এই রেকর্ডটি ছিল 'এন' সিরিজের রেকর্ড।
নভেম্বর ১৯৩০ (১৫ কার্তিক- ১৪ অগ্রহায়ণ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
এই মাসে নজরুল তাঁর নিষিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ প্রলয় শিখা এবং তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পুরো মাস জুড়ে ব্যস্ত ছিলেন। এর ভিতরে তাঁর প্রথম নাটিকা সংকলন 'ঝিলিমিলি' প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া পত্রিকান্তরের প্রকাশিত হয়েছিল দুটি গান।

প্রলয় শিখা-মামলা'র অগ্রগতি নাট্য-সংকলন ঝিলিমিলি
১৩৩৭ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে প্রকাশিত হয়েছিল 'ঝিলিমিলি' নামক নাট্যসংকলনের প্রথম সংস্করণ। এই সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তিনটি নাটিকা। এগুলো হলো- ঝিলিমিলি, সেতুবন্ধ ও শিল্পী। এর ভিতরে 'ঝিলিমিলি' নাটিকার নামে এই সংকলনের নামকরণ করা হয়েছিল। এই তিনটি নাটিকাই পূর্বে প্রকাশিত হয়েছিল এই মাসে প্রকাশিত দুটি গান ডিসেম্বর ১৯৩০ (১৫ অগ্রহায়ণ -১৬ পৌষ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
এই মাসে নজরুলের নিষিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ প্রলয় শিখা সংক্রান্ত মামলা আদালতের রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে ছ-মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, পরে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করে, জামিনে মুক্তি পান। এছাড়া এই মাসে মন্মথ রায়ের রচিত কারাগার নাটক মঞ্চস্থ হয়। এতে নজরুলের গান যুক্ত করা হয়েছিল।

প্রলয় শিখা-মামলা'র অগ্রগতি

২৪শে ডিসেম্বর (বুধবার ৯ পৌষ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ), মন্মথ রায়ের নাটক কারাগার, মনোমোহন থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয়েছিল। এই নাটকে মোট ৮টি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। এর ভিতরে প্রত্যেকটি গানের কথা ও সুর রচনা করেছিলেন নজরুল। বাস্তবে ধরিত্রী চরিত্র ছাড়াও আরো দুটি নজরুলে গান ব্যবহৃত হয়েছিল। নিচে নাটকে ব্যবহৃত সমুদয় গানের তালিকা তুলে ধরা হলো-

এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গানের তালিকা এই মাসে পত্রিকায় প্রকাশিত গানের রেকর্ডের তালিকা জানুয়ারি ১৯৩১ (১৭ পৌষ-১৭ মাঘ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
এই মাসে নজরুলের রচিত কোনো নতুন রচনার সন্ধান পাওয়া যায় নি। মন্মথ রায়ের কারগার নাটকের রচিত তিনটি গান পত্রিকায় এবং পূর্বে রচিত ৪টি গান সম্বলিত ২টি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। রেকর্ডে প্রকাশিত ৪টি গান

ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ (১৮ মাঘ -১৬ ফাল্গুন ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
মন্মথ রায় এবং শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের নাটকের জন্য গান রচনা এবং নাটকের গানের সুর করার সূত্রে কলকাতার থিয়েটার জগতে নজরুলের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সূত্রে ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারি (শনিবার ৯ ফাল্গুন ১৩৩৭), কলকাতার ম্যাডান থিয়েটার লিমিটেড তাঁকে নিয়মিত বেতনভোগী সঙ্গীত নির্দেশক তথা 'সুর ভাণ্ডারী' হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল। এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল নাচঘর পত্রিকার ১লা ফাল্গুন ১৩৩৭ এবং ২১ ফেব্তুয়ারি ১৯৩১ সংখ্যায়।

মার্চ ১৯৩১ (১৭ ফাল্গুন-১৭ চৈত্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ)
৫ই মার্চ (২১ ফাল্গুন ১৩৩৭) গান্ধী-আরউইন চুক্তি  স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া। এই সূত্রে নজরুল প্রলয় শিখা প্রকাশ-ঘটিত মামলা থেকে মুক্তি লাভ করেন।

২৫ মার্চ (বুধবার ১১ চৈত্র ১৩৩৭) হেমেন্দ্রকুমার রায়ের নাটক 'ধ্রুবতারা' প্রথম মঞ্চস্থ হয়। উল্লেখ্য, যতীন্দ্রমোহন সিংহের উপন্যাস 'ধ্রুবতারা'-কে তিনি নাট্যরূপ দিয়েছিলেন। এই নাটকে হেমেন্দ্রচন্দ্র ৬টি স্বরচিত গান ব্যবহার করেছিলেন। এর ভিতরে, ৪টি গানের সুর করেছিলেন নজরুল।

এই মাসে প্রকাশিত রচনা-তালিকা

এপ্রিল (১৮ চৈত্র ১৩৩৭- ১৭ বৈশাখ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)
১১ এপ্রিল  (শনিবার, ২৮ চৈত্র ১৩৩৭) প্রথম বাংলা সবাক চিত্র 'জামাই ষষ্ঠী' মুক্তি পায়। এর আগেই ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে নজরুল ম্যাডান থিয়েটারে 'সুরভাণ্ডার' পদে নিযুক্ত হন। মূলত তিনি যুক্ত হয়েছিলেন প্রশিক্ষক হিসেবে। তিনি চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংলাপের জন্য শুদ্ধ উচ্চারণ, কণ্ঠশিল্পীদের গানের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। এই ছবিতে নজরুলের কোনো গান ব্যবহৃত হয় নি।

এই মাসে জয়তী পত্রিকায় বৈশাখ ১৩৩৮ (এপ্রিল-মে ১৯৩১) সংখ্যায় দুটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। গানটি হলো-

এই মাসে রেকর্ডে প্রকাশিত গানের তালিকা

১-১০ মে ১৯৩১ (১৮ বৈশাখ-১০ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)
নজরুলের জীবনের ৩১তম অতিক্রান্ত বয়সের শেষ কয়েকদিনে তাঁর রচিত কোনো নতুন রচনার সন্ধান পাওয়া যায় নি।

জ্যৈষ্ঠ মাসে সঙ্গীত-বিজ্ঞান প্রবেশিকা পত্রিকায় একটি গান স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।


সূত্র